দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ॥ দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে গবেষণার জন্য ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় আইন করার প্রস্তাব সংসদে উঠেছে। বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত ‘বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭’ সংসদে উত্থাপন করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। পরে বিলটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়, দিনাজপুরের সদর উপজেলার নশিপুরে এই ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় হবে। ইনস্টিটিউট গম ও ভুট্টার উন্নয়ন ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, এ-সংক্রান্ত গবেষণা, জার্ম প্লাজম সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রকল্প গ্রহণ এবং স্নাতকোত্তর গবেষণার ব্যবস্থা করবে। সরকার নিযুক্ত একজন মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন। বোর্ড ১১ সদস্যের হবে বলেও বিলে বলা হয়। বোর্ডে সরকারি কর্মচারীর পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী, কৃষক প্রতিনিধি ও এনজিও প্রতিনিধিও রাখার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইন কার্যকর হলে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গম গবেষণা কেন্দ্র এবং ভুট্টা শাখা বিলোপ হবে বলেও খসড়ায় বলা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণে সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে দানাদার খাদ্যশস্য হিসেবে ধানের পরই গম ও ভুট্টার স্থান। দেশের জনসাধারণ খাদ্য চাহিদা এবং পোল্ট্রি শিল্পসহ পশুখাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য গম ও ভুট্টার গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে প্রতি বছর গম ও ভুট্টার চাষ সম্প্রসারণ হচ্ছে। গম ও ভুট্টা ফসলকে বৃদ্ধির জন্য গবেষণার নিমিত্ত ইনস্টিটিউট স্থাপন করা প্রয়োজন। মন্ত্রী জানান, দিনাজপুরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গম গবেষণা কেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাই করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় মেক্সিকোতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিমিট) আদলে ভুট্টাকে অন্তর্ভুক্ত করে বিদ্যমান গম গবেষণা কেন্দ্রকে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের কার্যক্রম শুরু করে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪