দয়ারাম রায় :
১১ অক্টোবর সোমবার থেকে মহাষষ্ঠী পূঁজার মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নে রামডুবি হাটস্থ ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় প্ূঁজা মহাসমারোহে চলছে এবার আরও ভিন্নতা যোগ হয়েছে তা হলো দুর্গা পূজা মন্ডবের সামনে ঐতিহাসিক কান্তজিউর মন্দির পূর্নাঙ্গ রুপে শোভা পাচ্ছে। রামডুবি হাট স্কুল ও কলেজের সাবেক সহকারী শিক্ষক কুলিন চন্দ্র রায়ের রং তুলি দিয়ে শতাধিক কাল ধরে গড়ে তুলেছেন কান্তজিউ মন্দিরের পূর্নাঙ্গ প্রতিচ্ছবি। ইতিপূর্বে ভাস্কর্য কারুশিল্পী ভারতের দক্ষিনাশ্বরের কালী মন্দির তৈরি করে দর্শনার্থীদের সুনাম কুড়িয়েছিলেন। এবার কান্তনগর মন্দিরের হুবহু প্রতিচ্ছবি স্থান পাওয়াতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিমা দর্শনার্থীরা কান্তনগর মন্দির চোখে দেখে আনন্দ উপভোগ করেছেন। এ ব্যাপারে কারুশিল্পী কুলিন চন্দ্র রায় জানান, এটা আমার পেশা নয় নেশা দেশ বিদেশের দর্শনীয় স্থান তুলে ধরতে খবই তৃপ্তি পাই। রামডুবি হাট কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরের সভাপতি কুলিন চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক কনক মহন্ত জানান, আমরা ভালো কিছু দিক দূর্গা পূঁজায় দর্শনার্থীদের জন্য উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি। এ বার ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির পূর্ণ অংশ রামডুবি হাট শারদীয় পূঁজা মন্ডবে শোভা পাচ্ছে। রাতের বেলায় বৈদ্যুতিক লাইটের আলোয় চকমক করে আলোর ঝলকানিতে। দুর্গা পূঁজার প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবক বাবু মন্মর্থ নাথ রায় জানান, রামডুবি হাট দুর্গা পূঁজা আজ ৫৪ বছরে পর্দাপন করেছে। আমরা সকলে সমাবেত ভাবে দু-হাত জোর করে মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন করোনা থেকে পৃথিবীর মানুষকে মুক্তি দেন,তিনি ধ্বংসেও আছেন সৃষ্টিতেও আছেন। প্রতিদিনের প্রার্থনায় মা দুর্গা দেবীর কাছে সমাবেত ভাবে করোনা যেন মহামারী রুপে বলিয়ান না হয় এটাই সকলের প্রার্থনা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪