বীরগঞ্জ, দিনাজপুর সংবাদদাতা :- হাড়কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ছিন্নমুল খেটেখাওয়া শ্রমজীবি সহ সর্বস্তরের মানুষ। উপজেলার শৈত্য প্রবাহ, কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে দিনের প্রথম ভাগ।ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনকে সড়ক পথে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের সাথে কনকনে বাতাসের কারণে কাহিল হয়ে পড়েছে ছিন্নমুল খেটেখাওয়া শ্রমজীবি মানুষ, দিনমজুর ও ক্ষেতমজুরা সহ ছাত্র-ছাত্রী সহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। গত এক সপ্তাহ আগে পুরাতন গরম কাপড়ের দাম তেমন না থাকলেও গত কয়েকদিন দিন থেকে বেড়ে তিন থেকে চারগুণ দামে বিক্রি ওইসব পুরাতন গরম কাপড় গুলো। পুরাতন গরম কাপড় কিনতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। গত কয়েকদিন দিন থেকে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা আর কনকনে বাতাসের কারণে দিনমজুর ও ক্ষেতমজুর পরিবারগুলো কাজ করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওইসব পরিবার। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিম্নবিত্তরা।
শীতের সাথে কনকনে বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হচ্ছেন না। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে।শীতের কারণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো থাকছে ক্রেতা শূন্য হয়ে। হোটেলগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে গেছে। মাইক্রোবাস চালক আশরাফুল জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামলেই আতঙ্কের মধ্যে পথ চলতে হচ্ছে। গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও সামনের পনের গজ দুরেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। বীরগঞ্জ উপজেলার ভ্যান চালক কাদের আলী বলেন, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার জন্য গত ৫ দিন ধরে তেমন আয় রোজগার করতে পারেননি, তাতে করে আমাদের সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যেসব শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা চিকিৎসা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে দেখা গেছে, তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার মতো এখনও তেমন জটিল রোগে পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪