খানসামা সংবাদদাতা ॥ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় গত দুইদিনের বৈশাখী ঝড়ে কয়েকটি গ্রামে বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কিছু কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ি, ভেঙ্গে পড়েছে বেশকিছু গাছ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠের ফসল। ঝড়ের প্রভাবে বিধস্ত হয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় আছে একাধিক গ্রাম।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ বৈশাখী ঝড়, শিলা বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। যা থেমে থেমে সারারাত চলে এবং শুক্রবার রাতেও বাতাস ও বৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের সূর্বণখূলী ওকড়াবাড়ি এলাকায় প্রায় ৫০টি বাড়ি ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরো শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গত দুইদিনের ঝড়ে ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ডের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বোরো ধান, ভুট্টা,রসুন, আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এতে দুঃশ্চিন্তায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
সূবর্ণখুলী গ্রামের মান্নু চন্দ্র রায় বলেন, আমরা বিছানাই ঘুমাইছিলাম। হঠাৎ রাত ১২/১ টারর দিকে ঝড়ে বাড়ির পাশের ৪০/৫০ বছর আগের বটগাছ হুড়মুড় করে ঘরের উপর পরে। এতে ঘর ভেঙ্গে আমাদের ওপর পড়ে। জীবন রক্ষার্থে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে বের হই। তবে এ ঘটনায় আমার স্ত্রীর কোমর ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একই গ্রামের নিরঞ্জন রায়, পলাশ সহ কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনার প্রভাব অপরদিকে বৈশাখী ঝড়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে তারা নিরুপায়। গত দুইদিন থেকে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। নষ্ট হয়েছে আবাদি ফসল। ভেঙ্গে গিয়েছে তাদের ঘর-বাড়ি।
এ বিষয়ে আংগারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এলাকার বিত্তবান সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, সোমবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারনে মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি খাত ও ঘর-বাড়ির ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদ কাজ করছে। সেটি হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪