ঘোড়াঘাট সংবাদদাতা ॥ চলমান মহামারী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষায় ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ৫টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র স্থাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
১৭ মে সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলমের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভায় এই সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় উপজেলার ওসমানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ওসমানপুর হাইস্কুল, দীপশিখা, টালিখাকুমী মিশনারী এবং পর্যটন মোর্টেল শরিফ কটেজকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
দীর্ঘ ১ বছর পর গত রোববার খুলে দেওয়া হয়েছে পাশ্ববর্তী হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর। এর মধ্যে দিয়ে করোনায় আটকে থাকা দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা নিয়ম মেনে দুই দেশে পারাপার করতে পারবে। ভারতে করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পরায় ওই দেশ থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমের ঝুঁকি রয়েছে বাংলাদেশে। ফলে হিলি (হাকিমপুর)সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলায় ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এসব উপজেলার মধ্যে অন্যতম ঘোড়াঘাট উপজেলা। কারণ হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের একমাত্র অন্যতম রুট ঘোড়াঘাট। ফলে ভারত ফেরত যাত্রীদের শতভাগ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে ঘোড়াঘাট উপজেলা ৫টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র করেছে প্রশাসন।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিউল আলম জানান, ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট এবং বিরামপুর উপজেলায় বেশ কয়েকটি অস্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের পাসপোর্ট এমিগ্রেশন কতৃপক্ষ জমা রেখে এই নিত উপজেলার কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠাবে এবং সেখানে যাত্রীরা ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে।
তিনি আরো জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৫টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা আছে। ভারত থেকে আগত যাত্রীদের সংখ্যা বেশি হলে ঘোড়াঘাটে আসন সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুর নেওয়াজ আহম্মেদ বলেন, ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর আরো শরীরে যদি করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা যায় এবং কোভিড টেষ্টে যদি করোনা পজেটিভ আসে, তবে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। করোনা পজেটিভ হওয়া রোগীদের আইসোলেশনে রাখতে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনে ১০ আসন বিশিষ্ট নারী ও পুরুষের জন্য দুটি পৃথক ইউনিট তৈরি করে রেখেছি। সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা যদি বেশী হয় কিংবা করোনা আক্রান্ত রোগীদের জটিল শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তবে তাদেরকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, বিগত সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থান অনেক রোগী ভয়ে এবং একাকিত্বতার কারণে পালিয়ে যাবার ঘটনা ঘটেছে। আমাদের উপজেলায় যারা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে, তাদেরকে শতভাগ নিরাপত্তা দিতে থানা পুলিশের সদস্যরা কাজ করবে। পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা এই কাজে সহযোগীতা করবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪