ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
রসগোল্লা,এক রসগোল্লার ওজনই যদি হয় পাঁচ কেজি! হ্যাঁ,সত্যি রসে টইটম্বুর এই গোল্লা দেখলে যে কারো জিভে জল চলে আসবে। এই গোল্লার স্বাদ নিতে হলে আপনাকে আসতে হবে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট গোপালপুর চৌধুরী মেলাতে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ২নং পালশা ইউনিয়নের গোপালপুরে শতবর্ষী এই মেলার বেশ কয়েকটি দোকানে হরেক রকমের মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখে যায় দোকানিরাদের।
পাঁচ কেজি ওজনের রসগোল্লা দেখে যদি লোভ সামলাতে না পারেন, আবার আকার দেখে ভয় পান, তবে ইচ্ছা করলে এক কেজি বা অর্ধ কেজি এমনকি ছোট আকারের রসগোল্লা মুখে পুড়ে নিয়ে স্বাদ নিতে পারেন।স্বাদে অতুলনীয়, দামেও কম।আকার ভেদে মিষ্টির নামও আলাদা রয়েছে।এক থেকে পাঁচ কেজি ওজনের মিষ্টির মধ্যে রয়েছে তিনিসা,রাজ বাটি,নৌকা,লাভ,মাছ,বালিস মিষ্টি সহ আরও বিভিন্ন নামে।আর ছোট মিষ্টির মধ্যে কালো জাম,পন্স,পাখি সাপ্ট,খেজুর গুড়ের মিষ্টি,পানিতায়া,চমচম,রস মালাই,ভাঁজাসহ নানান প্রকারের মিষ্টি থরে থরে ডাবাতে সাজানো রয়েছে।
মেলায় জয়পুরহাট পাঁচবিবি সরাইল থেকে আসা মিষ্টি দোকানি আব্দুল গফুর জানান,বাবা-দাদার সময় থেকে এই মেলায় প্রতি বছর মিষ্টি বিক্রি করে আসছেন তাঁরা। প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এই মেলায় আসে। প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়।বেচাকেনা খুব ভালো হয়।ছোট বড় মিলে ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে বলে এই বিক্রিতা জানান।
মেলায় ঘুরতে আসা জাহিদ নামের দর্শনার্থী জানান,অনেক আগে থেকে এই মেলার একটা হাক ডাক আছে,প্রতি বছর বাংলা মাসের ১৮ পৌস থেকে মাস ব্যাপী এই মেলা চলে।মেলা থেকে বের হওয়ার পথেই চোখে পড়বে এসব মিষ্টি দোকানের।শিশু, কিশোর, নারী-পুরুষ, বয়স্ক সে যেই আসুক এই মেলায় এসব মিষ্টি তাদের আকৃষ্ট করেই। আর বিক্রেতারাও সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। মেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খাওয়া, বাড়ির জন্য নিয়ে যাওয়া এটা মেলায় ঘুরতে আসা প্রায় সব দর্শনার্থীদেরই কাজ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪