দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ করোনার প্রভাবে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের জীবনযাপন বদলে গেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। অদৃশ্য এই ভাইরাসকে রুখে দিতে বেশির ভাগ মানুষই জীবনের অংশ করে নিয়েছেন মাস্ককে। এ মহামারিতে সারাক্ষণ নাক মুখ ঢেকে রাখছেন মাস্ক দিয়ে। একনাগাড়ে মাস্ক পরে থাকার কারণে ছোটবড় সব বয়সীদেরই অ্যাকনে ভালগারিস বা ব্রণের প্রবণতা বাড়ছে। ব্রণের আরেক নাম অ্যাকনে ভালগারিস। ত্বকের নীচে সেবেসাস নামের যে গ্রন্থি থাকে তা থেকে নিঃসৃত সেবাম বাইরের ঘাত প্রতিঘাত থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ত্বককে কোমল ও মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন কারণে রোমকূপের মুখ আটকে গেলে ব্রণ হয়। মূলত মুখেই বেশি ব্রণ দেখা যায়। তবে বুকে, পিঠে বা নিতম্বেও এই স্কিন র্যাশ হতে পারে। এর সঙ্গে জীবাণুর সংক্রমণ হলে বেশি ব্রণের ঝুঁকি দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়ার কারণে বেশি ব্রণ হলে স্কিন সায়েন্সে একে প্রোপাইনে ব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনে বলে। এ ছাড়া কালো আর সাদাটে ব্রণের মতো ফুসকুড়িকে বলে ব্ল্যাক আর হোয়াইট হেডস। ব্রণ বা যে কোনো স্কিন র্যাশের সমস্যার মূলে থাকে অপরিছন্নতা। তাই সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখা দরকার। যাদের দীর্ঘসময় কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে হয়, তাদের এই সমস্যার ঝুঁকিটা তুলনামূলক বেশি। কাজের মাঝে সম্ভব হলে অফিসের ফাঁকা করিডরে গিয়ে মাস্ক খুলে কিছুক্ষণ থেকে মাস্ক স্যানিটাইজ করে আবার পরে নিতে পারেন। কিংবা অফিসে খাবার আগে মাস্ক খুলে মুখ হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে খাবার পর মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে অন্য একটি পরিষ্কার মাস্ক পরে নিন। ব্রণ হলে কখনোই হাত দেওয়া ঠিক নয়, এতে করে কালো দাগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। সার্জিক্যাল ফেস মাস্ক যে উপাদানে তৈরি, তা ভাইরাস আটকাতে কার্যকর হলেও ত্বকবান্ধব নয়। তুলনামূলক ভাবে সার্জিক্যাল মাস্ক থেকে পরিষ্কার সুতির কাপড়ের মাস্ক অনেক বেশি নিরাপদ ব্রণের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে। অন্যদিকে, রঙিন মাস্ক থেকে অ্যাকনে ও ইরাপশনের ঝুঁকি বাড়ে। মূলত রংয়ের ব্যবহৃত রাসায়নিক এই সমস্যার জন্য দায়ী। যাদের অত্যন্ত বেশি ব্রণ বা অ্যাকনের সমস্যা আছে, তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি অয়েল ফ্রি লোশন ব্যবহার করে মাস্ক পরতে পারেন। তবে, দেহে হরমোনের সমস্যার কারণেও ব্রণ হতে পারে। বয়ঃসন্ধি কাল থেকে ব্রণের সূত্রপাত হলেও এ সমস্যা হতে পারে পঞ্চাশের দোরগোড়ায়ও। এক বলে অ্যাডাল্ট এ্যাকনে। বিশেষত মেনোপজের সময় মহিলাদের শরীরে একাধিক হরমোনের মাত্রার তারতম্য ঘটে। ত্বকে বেশি বেশি ব্রণের সমস্যা দেখা দিলে নিজে থেকে টোটকা চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না। সূত্র: কলকাতা ২৪।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪