দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ পাল্লেকেল্লেতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে আলোকস্বল্পতা না থাকলে দিনের পুরো খেলা মাঠে গড়ালে হয়তো দ্বিতীয় দিনের ইনিংস ঘোষণা করতো বাংলাদেশ। যার কারণে তৃতীয় দিন পর্যন্ত ব্যাট করতে হয়েছে টাইগারদের। এদিন প্রথম সেশনের শুরুতেই ফিফটি তুলে নেন ক্রিজে থাকা মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। তবে ৫০ করেই সাজঘরে ফেরেন লিটন। তার উইকেট পতনের পর শুরু ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার প্রতিযোগিতা। তবে একপাশ আগলে রাখেন মুশফিক। অপরাজিত হয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ঠিক কত রানে ইনিংস ঘোষণা করতে পারে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার যেন শেষ ছিলো না। কোচ ডোমিঙ্গা বলেন, ‘কত রানে ইনিংস ঘোষণা করতে চাই, এটা ঠিক করতে রাতে আমরা আলোচনা করবো। তবে শুক্রবার)সকালে আমাদের দ্রুত কিছু রান লাগবে। যদি ৫২০ রানের আশপাশে যেতে পারি, তাহলে আমরা শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলার সুযোগ পাবো।’ তার কথা মতোই ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে সফরকারিরা। এ সময় ৭ উইকেট খুইয়েছে তাদের। ক্যান্ডি টেস্টের প্রথম দিন বুধবার ২ উইকেট ৩০২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। সাইফ হোসেন শূন্য রানে আউট হলেও দলের ভিত গড়ে দেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। তামিমের আউটের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তৃতীয় উইকেটে শান্তর সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান তিনি। প্রথম দিন শেষে নাজমুল হাসান শান্ত ১২৬ ও মুমিনুল ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে তারা। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম সেঞ্চুরিকে দেড়শ ছাড়িয়ে নেওয়ার পর ডাবলের দিকে এগোচ্ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু লাহিরু কুমারার বলে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন ১৬৩ রান করা শান্ত। সেই ভেঙ্গে যায় মুমিনুল হকের সঙ্গে তার ৩৪২ রানের রেকর্ড জুটি। শান্তর আউটের পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি গড়েন মুমিনুল হক। চতুর্থ উইকেট দুজনে মিলে ৩০ রান করেন। এর মধ্যে ১২৭ রান করে আউট হন মুমিনুল। লাঞ্চের আগে দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরি তুনে টাইগার অধিনায়ক। তার আউটের পর রানের চাকা সচল রাখেন লিটন ও মুশফিক। ৫০ তুলে লিটন আউট হলেও মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৬৮ রানে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪