দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার অবস্থা ভারতের। প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখের ওপরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, দৈনিক প্রাণহানি তিন হাজার ছুঁই ছুঁই। এ অবস্থায় ভারতে আইপিএল খেলতে আসা ক্রিকেটাররা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট চালানোয় দেশে-বিদেশে সমালোচনাও চলছে। এর মধ্যে আবার অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়ে দিয়েছে, খেলোয়াড়দের দেশে ফেরানোর দায়িত্ব নেবে না তারা। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আইপিএল খেলতে আসা বিদেশি খেলোয়াড়দের আশ্বস্ত করতে এগিয়ে এসেছে বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড)। টুর্নামেন্ট শেষে সব বিদেশি ক্রিকেটারকে বাড়ি ফেরার যাবতীয় ব্যবস্থা তারা করবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে। তিন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর এক দিন পরই এ ঘোষণা দিল বিসিসিআই। গত সোমবার অ্যান্ড্রু টাই, কেন রিচার্ডসন, অ্যাডাম জাম্পা টুর্নামেন্ট থেকে সরে গেছেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের আরেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিস লিন দেশে ফেরার জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) কাছে চার্টার্ড ফ্লাইটের দাবি জানিয়েছেন। এমন দাবির পর সিদ্ধান্ত জানাতে মোটেও সময় নেয়নি অস্ট্রেলিয়ার সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সাফ বলে দিয়েছেন, 'খেলোয়াড়দের দেশে ফেরার ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হবে।' এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ নিষেধাজ্ঞা ১৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে বিসিসিআই। প্রতিষ্ঠানটির সিওও হেমাঙ্গা আমিন এক চিঠি দিয়ে খেলোয়াড়দের দেশে ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, 'অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, টুর্নামেন্ট শেষ হলে বাড়ি ফিরব কীভাবে। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এ ব্যাপারে কোনো চিন্তা করতে হবে না। সবার বাড়ি ফেরার সম্পূর্ণ দায়িত্ব ভারতীয় বোর্ডের। আসর শেষে সরকারের সহযোগিতায় বোর্ড সে ব্যবস্থা করবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সবাই সুস্থভাবে নিজ নিজ বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিসিসিআইর জন্য টুর্নামেন্ট শেষ হবে না।' বিসিসিআইর এ ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ানদের উদ্বেগ কিছুটা হলেও কমবে। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্যাট কামিন্স চলমান এই সংকটে হাসপাতালে অক্সিজেন কিনতে ৫০ হাজার ডলার দান করেছেন। ডানহাতি এ পেসার আইপিএল চালু রাখার আবেদনও জানিয়েছেন। তার মতে, আইপিএল দেখে যদি মানুষ এক মিনিটের জন্য হলেও করোনার এই বিভীষিকা ভুলে থাকতে পারে, তাহলেই এই টুর্নামেন্ট সার্থক হবে। এমন বক্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিসিসিআইর এই কর্মকর্তা। হেমাঙ্গা আমিন আরও জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বায়ো-বাবল আরও নিñিদ্র করা হচ্ছে। আগে বাইরের হোটেল থেকে খাবার আনার অনুমতি থাকলেও এখন সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪