দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ কোথায় বল ফেলবেন, যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না শিভাম মাভি। নিখুঁত টাইমিংয়ে একের পর এক বল বাউন্ডারিতে পাঠাচ্ছিলেন পৃথ্বী শ। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের প্রথম ওভারে ছয়টি চার মারলেন তিনি। এই সংস্করণে ইনিংসের প্রথম ওভারে এর আগে সর্বোচ্চ চার ছিল পাঁচটি। পাঁচ ব্যাটসম্যান গড়েছিলেন এই কীর্তি। এর একটি ছিল আইপিএলে। ২০০৯ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের ডার্ক ন্যানেসের বলে মেরেছিলেন ডেকান চার্জার্স অধিনায়ক অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। আইপিএলে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এক ওভারে ৬টি চার মারার কীর্তি গড়লেন পৃথ্বী। আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে দেখা মেলে বিরল এই দৃশ্যের। ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লির ইনিংসের প্রথম ওভারে মাভি খরচ করেন মোট ২৫ রান। ২২ বছর বয়সী এই পেসার শুরুটা করেন ওয়াইড দিয়ে। প্রথম বলটা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান পৃথ্বী। দ্বিতীয় বলটা ছিল লেগ স্টাম্পে, আরেকটি চমৎকার শটে এবার মিড উইকেট দিয়ে চার। তৃতীয় বলটা অফ স্টাম্পের একটু বাইরে, এবার কাভার শটে বল বাউন্ডারিতে। পরের বল অফ স্টাম্পের বাইরে নিচু ফুল টস, পৃথ্বী শুধু ব্যাটের ফেস ওপেন করে দেন, সুইপার কাভার দিয়ে চার। পঞ্চম বল অফ স্টাম্পের বাইরে পেয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার। আর শেষ বল এক্সট্রা কাভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে চক্র পূর্ণ করেন পৃথ্বী। ওভারে ৬টি চার মেরে পৃথ্বী বসলেন অজিঙ্কা রাহানের পাশে। ২০১২ সালের আসরে রাহানে এই কীর্তি গড়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে। প্রথম ইনিংসের সেটি ছিল ১৪তম ওভার, বোলার ছিলেন বাঁহাতি পেসার শ্রীনাথ অরবিন্দ। সেবার ৬০ বলে ১২ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ১০৩ রান করেছিলেন রাহানে। ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি পৃথ্বী। দলের জয় থেকে ৯ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি ৮২ রান করে। ৪১ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় গড়া তার ইনিংস। দিল্লি ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে ২১ বল বাকি থাকতে। এই ম্যাচেও কলকাতার একাদশে সুযোগ পাননি সাকিব আল হাসান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪