দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে বাংলাদেশ পেয়েছিল দুটি তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার সুযোগ। যদিও করোনাভাইরাসের প্রকোপে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে সম্ভব হয়নি একটিও। তবে এবার সেই সুযোগও হচ্ছে না। দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশের সব সিরিজই দুই টেস্টের। আগের আসরে মতো এবারও ঘরে-বাইরে মিলিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ছয়টি সিরিজ খেলবে সব দল। বাংলাদেশের ম্যাচ তাই ১২টি। আসরের ৯ দলের মধ্যে বাংলাদেশের ম্যাচই সবচেয়ে কম। সবচেয়ে বেশি ২১ টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে, ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সফর নিউ জিল্যান্ডে। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে সফর দক্ষিণ আফ্রিকায়, জুলাই-অগাস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এরপর আগামী বছরের নভেম্বরে দেশের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচি। টেস্টের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরের প্রথম লড়াই হবে পতৌদি ট্রফি। ইংল্যান্ড-ভারতের পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজটি শুরু হবে আগামী ৪ অগাস্ট। ২০২৩ সালের জুনে শেষ হবে দুই বছরের চক্র। এখনও ফাইনালের তারিখ ও ভেন্যু চূড়ান্ত করেনি আইসিসি। পতৌদি ট্রফি ছাড়া এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ আছে আর একটিই, এই বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিতব্য অ্যাশেজ। চার ম্যাচের একমাত্র টেস্ট সিরিজ ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি, যেটি হবে আগামী বছর ভারতে। ইংল্যান্ডের পর সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে ভারত, ১৯টি। অস্ট্রেলিয়া পাচ্ছে ১৮ টেস্ট, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫টি, পাকিস্তান ১৪টি। প্রথম আসরের শিরোপাজয়ী নিউ জিল্যান্ড খেলবে মোটে ১৩ টেস্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা। এই চক্রে তিন টেস্টের সিরিজ আছে সাতটি। ১৩টি রয়েছে দুই টেস্টের সিরিজ। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসি ভবিষ্যৎ সফর সূচিতে আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল এই সিরিজগুলো। কোভিডের প্রকোপে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে স্থগিত হওয়া কোনো সিরিজই নতুন আসরে যোগ করা হবে না। এবার পয়েন্ট পদ্ধতিতেও বদল এনেছে আইসিসি। সব সিরিজের জন্য সমান পয়েন্টের বদলে নতুন আসরে থাকছে সব ম্যাচের জন্য সমান পয়েন্ট। ম্যাচ সংখ্যার তারতম্যের কারণে পয়েন্টে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে, এজন্যই এই সিদ্ধান্ত। প্রতিটি টেস্ট জয়ের জন্য থাকবে ১২ পয়েন্ট। ম্যাচ ড্র হলে প্রতি দল পাবে ৪ পয়েন্ট করে, টাই হলে ৬ পয়েন্ট। ম্যাচগুলির সম্ভাব্য পয়েন্টের মধ্যে যে দল যত পয়েন্ট পেয়েছে, সেটির শতকরা পয়েন্টে হিসেবে ঠিক করা হবে পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান। আইসিসি নির্বাহী কমিটির আগামী সভায় অনুমোদিত হবে এই পয়েন্ট পদ্ধতি। এছাড়া মন্থর ওভার রেটের জন্য আছে আগের মতোই শাস্তির ব্যবস্থা। দেরিতে হওয়া প্রতি ওভারের জন্য একটি করে পয়েন্ট কেটে নেওয়া হবে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে একদম তলানিতে থেকে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। কোভিডের কারণে কিছু সিরিজ বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশ খেলতে পারে কেবল ৭ টেস্ট। প্রাপ্তি ছিল একটি ড্র ম্যাচ থেকে মাত্র ২০ পয়েন্ট।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মাজেদা মনজিল, মালদাহপট্টি
দিনাজপুর-৫২২০
মোবাঃ ০১৭১৪৯১০৭৭৯, ০১৭৭২৯৩৩৬৮৮
ই-মেইলঃ [email protected], [email protected]
দিনাজপুর বার্তা ২৪