
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গমের বাম্পার ফলন হলেও বাজারে এবার গমের দাম না পেয়ে কৃষকেরা এখন হতাশ হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারী ভাবে গম ত্রুয়ের নিদের্শনা না আসায় বাজারে গম সস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের গম কাটা মারা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। বোরো ধান কাটা মারা শুরু না হতেই সরকারী ভাবে ধান ও চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারী ভাবে গম ক্রয়ের কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এতে করে বাজারে বর্তমানে কৃষকরা পানির দরে গম বিক্রি করেছেন। গম চাষীরা তাদের নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চিরিরবন্দরে উপজেলা পুনটি মানিক মিয়া জানান, ১ বিঘা জমিতে গম চাষ করে ১৪ মণ ফলন পেয়েছি। আর চাষাবাদ ও সার বীজসহ খরচ হয়েছে ৬৫০০/ হাজার টাকা। চিরিরবন্দর ফকিরপাড়া মোস্তাকিম জানান, আমি পিঠা খাওয়ার জন্য ১ বিঘা জমিতে গম আবাদ করে ২০ মণ ফলন পেয়েছি। চাষাবাদ ও সারবীজ খরচ প্রায় ৮ হাজার টাকা। কারেন্ট হাট মর্ত্তমন্ডল আলহাজ্ব রিয়াজুল ইসলাম জানান, ২ বিঘা গম আবাদ করি ২৯ মণ গম পাই। কিন্তু ১৪০০ হাজার টাকা। তবে বাজারে ভাল দাম পেয়ে এবার গম চাষাবাদ করে অনেকটা লোকসান গুনতে হবে। চাষীদের অভিযোগ সরকার বিদেশ থেকে গম আমদানী করায় দেশের চাষীরা কষ্ট করে গম উৎপাদন সহ ভাল ফলন পেলেও বাজারে ঠিকমত ন্যায পাচ্ছি না।
বর্তমানে সাড়ে ৬ শত টাকা দরে বাজারে গম বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর আতার বাজার ডাক্তারপাড়া গ্রামের নুর হাসান জানান, তিনি চলতি মৌসুমে ১ একর জমিতে গম চাষ করেছেন। তার ১ একর জমিতে গম উৎপাদন খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু বাজারে গমের যে দাম তাতে লাভ হবে না বলে তিনি জানান। গমের বাজার মূল্য কম থাকায় প্রতি বছর গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা কমে যাচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষকরা বলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে গম আবাদের জন্য ১৪৮৭ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা করা হলেও কৃষকরা এখন ভুট্টায় প্রতি আগ্রহ বেশি। তার মধ্যে ৮২৫ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এসব জমিতে গমের ভাল ফলন হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ শিলা বৃষ্টি ও বাতাসে চাষীদের গম আবাদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
দিনাজপুর, বাংলাদেশ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৩:৩৮ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৫:১৪ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৬:৩৫ অপরাহ্ণ |