দিনাজপুর বার্তা২৪ ডেক্স: ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের গোলচত্বরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ‘কোনো হামলা নয়’ বলে ধারণার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেছেন, দেখে মনে হচ্ছে, এটা হামলা নয়। নিহত ব্যক্তি ট্রলি ব্যাগে (ট্রাভেল ব্যাগ) করে বোমা বহন করছিল। তবে পুলিশের ব্যাপক অবস্থান দেখে অতি সতর্কতাবশতঃ বোমাটি বিস্ফোরণ হয়ে গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনার পর রাত সোয়া ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোলচত্বর সংলগ্ন উত্তরা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের কাছে দু’টি বক্সের মাঝখানে বিস্ফোরণটি ঘটে। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দেখে মনে হচ্ছে এটি কোনো হামলা নয়। তবে নিহত ব্যক্তি বোমা ক্যারি (বহন) করছিল। কিন্তু কেন-কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল সেটা জানা যায়নি। নিহত ব্যক্তির পরনে জিন্স প্যান্ট ও ফুল হাতার শার্ট ছিল উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তার পেটের বাম পাশে বোমা বাঁধা ছিল। সে কারণে বিস্ফোরণে পেটের বাম পাশ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় কী তা এখনও জানা যায়নি, তবে তার বয়স আনুমানিক ৩০-৩২ বছর। ওই ব্যক্তির পরিচয় তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ধরনের ঘটনায় রাজধানীসহ দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জনগণ আগের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ। এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ লোকজনের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিএমপি কমিশনারের ব্রিফিংয়ের আগ থেকেই ঘটনাস্থলে তৎপর হয় ডিবি ও ৠাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিট। তার ব্রিফিংয়ের পর ডিবির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিহত ব্যক্তির বহন করা ট্রলি ব্যাগটি তল্লাশি চালাতে থাকে। পরে সেখান থেকে দু’টি অবিস্ফোরিত বোমা জব্দ করা হয়। যার মধ্যে রাত পৌনে ১১টার দিকে একটি ও ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে দ্বিতীয় বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।