দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানে দুই প্রদেশ থেকে ১৮ জন বাংলাদেশিসহ ২৩৫ জনকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামার ও অভিবাসন বিভাগের বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দেশটির মালাক্কা প্রদেশ ও কুয়ালা তেরেঙ্গানুতে পৃথক সময়ে অভিযান চালিয়ে ২৩৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। আটক ২৩৫ জনের মধ্যে ১৮ বাংলাদেশি ও ইন্দোনেশিয়ার ১৭ নাগরিক রয়েছেন। মালয়েশিয়ার মালাক্কা প্রদেশে ইমিগ্রেশন বিভাগের যৌথ অভিযানে একটি ডুরিয়ান (মালয়েশিয়ার জাতীয় ফল) বাগানে লুকিয়ে থাকা ৩৫ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি এবং ১৭ জন ইন্দোনেশীয় নাগরিক রয়েছেন। তাঁদের বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে আটক করা হয়েছে। আটক করা সব অভিবাসীদের মাচাম্বু ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানোর আগে কোভিড-১৯-এর পরীক্ষা করতে জেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (পিকেডি) নেওয়া হয়েছে। এদিকে, কুয়ালা তেরেঙ্গানু এলাকার কয়েকটি নির্মাণ সেক্টরে অভিযান চালিয়ে করে ২০০ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। তবে, এই অভিযানে কত জন বাংলাদেশি বা অন্যান্য দেশের কত জন নাগরিক রয়েছেন, প্রতিবেদন তা উল্লেখ করা হয়নি। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, আটক করা বিদেশিদের ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/১৯৬৩-এর অধীনে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া এই বিদেশিদের অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগে তাঁদের নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে একই আইনের আওতায় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় থাকা অভিবাসীদের প্রচলিত আইন মানতে হবে।
চিরুনি অভিযান নামার ঘোষণা
স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষা শতভাগ কার্যকর করতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে মালয়েশিয়ায় চিরুনি অভিযানে নামবে দেশটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা অন্তত ২১টি সংস্থা। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেসি পাতুহ’। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদিন তেরেঙ্গানুর এসওপি সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এরইমধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে, তাদের নজরদারিতে রাখা হবে। অভিযান চলাকালে কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি এসওপি লঙ্ঘন দেখা যায়, তাহলে গ্রেপ্তারসহ সর্বোচ্চ জরিমানা করা হবে এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে অবৈধ বিদেশিকর্মী রাখা হয়েছে কি না, সেটিও যাচাই করবে। একই সঙ্গে মালয়েশিয়াজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব কমাতে দেশটির ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অস্থায়ী রোডব্লক স্থাপন করা হবে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বিদেশি জেলেদের অবৈধভাবে সাগরে মাছ ধরা কার্যক্রম রোধ করতে মালয়েশিয়ার ফিশারি ডেভলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গেও আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।