পঞ্চগড় ঘুরে একরামুল মুন্না: পঞ্চগড়ে পল্লী গ্রামের অন্ধকার দূর করতে একমাত্র অবলম্বন ছিল হারিকেন ও কুপি বাতি। হারিকেন বা কুপি বাতি জ্বালিয়ে গৃহস্থলির কাজ সহ বাড়ির উঠানে বা বারান্দায় লেখাপড়া করত ছেলে মেয়েরা। অন্ধকার রাতে পথ চলতে ও হাট বাজার গুলোতে ব্যবহার হতো হারিকেন ও কুপি বাতি। হারিকেনের কেরোসিন তেলের আনার জন্য প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতেই ছিল কাঁচের বিশেষ ধরনের বোতল। সেই বোতলের গলায় রশি লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হতো বাঁশের খুঁটিতে।
অতীতে রিক্সা ও ভ্যানগুলোর নিচে রাতের আঁধারে হারিকেনের ব্যাপক ব্যবহার ছিল। এখন ভ্যান ও রিক্সা গুলোতে হারিকেনের মিটি মিটি আলো আর চোখে পড়ে না। বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য হারিকেন ও কুপি বাতি এখন আর চোখে পড়ে না। এ দৃশ্য এখন আর পঞ্চগড় জেলার পল্লী গ্রামগুলোতে চোখে পড়ে না। বর্তমানে আধুনিক সভ্যতায় হারিকেন ও কুপি বাতির পরিবর্তে স্থান করে নিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক বাল্ব, সৌর বিদ্যুৎ, চার্জার লাইট, মোমবাতি সহ আরো অনেক কিছু।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০নং গরিনাবাড়ী ইউনিয়নের ঠাটপাড়া গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী মোঃ সাইফুল ইসলাম ও ৮নং ধাক্কামারা ইউনিয়নের ঘাটিয়াপাড়া গ্রামের মোঃ তোতা মিয়া (৫০) জানান, এমন এক সময় আসবে যখন হারিকেন ও কুপি বাতি দেখতে যেতে হবে ঢাকা জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেওনা হারিকেন ও কুপি বাতির ইতিহাস।