
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি://
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার চড়ারহাট গণহত্যা দিবস আজ ১০ অক্টোবর। সেই ভয়াল দিনের কথা মনে হলে এখনো কেঁদে ওঠেন ্এখানকার মানুষ।। ১৯৭১ সালের এই দিনে উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের দুটি গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক নিরীহ গ্রামবাসীকে পাকিস্তানের সেনারা নির্বিচারে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম ঘটনা দিনাজপুরের চড়ারহাট গণহত্যা, পরিনত হয় বব্ধভুমিতে। সে গণহত্যার দিবসটি পালনে প্রতি বছরই এইদিনে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
একটি সেতুর মাটি কাটার কথা বলে ৯ অক্টোবর শেষ রাতে ঘুমন্ত নিরীহ গ্রামবাসীদের ডেকে নিয়ে যায় পাক সেনারা। চড়ারহাট গ্রামের প্রায় ৮০ জন যুবক ও মধ্য বয়সী ব্যাক্তিদের একটি মাঠে একত্রিত করে তাদের লাইনে দাড় কড়িয়ে ব্রাশ ফায়ার করে গুনে গুনে তাদের মুত্য নিচ্ছিত করে। পরে পার্শের আন্দোলগ্রামে ঢুকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘর থেকে পুরুষদের খুঁজে বের করে গুলি করে হত্যা যঞ্জে মেতে ওঠে হানাদারেরা। পুরুষ শন্য হয় গ্রামটি। তাদের লাগিয়ে দেয়া আগুনে গ্রামের পর গ্রাম পুড়ে ভস্মিভুত হয়।
২০১১ বর্তমান সাংসদ শিবলি সাদিক উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তাঁর আর্থিক সহযোগিতায় প্রাণকৃষ্ণপুরে দিনাজপুর সেক্টর ফোরামের সহযোগীতায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়। এদিকে গেলো বছর বদ্ধভুমিটির প্রাচীর নির্মান করেন এমপি শিবলী সাদিক।