বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কৃষকরা বর্তমানে আলু চাষের দিকে ঝুকে পড়েছে। গত বছর বাজারে আলুর দাম বেশি পাওয়ায় অধিক লাভের আশায় চলতি মৌসুমে তারা কমর বেধে আলু চাষে মাঠে নেমেছে। বর্তমানে উপজেলার আলুর ক্ষেতগুলো সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে। কৃষকরা বর্তমানে আলু পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন। গত কিছুিদন আগে বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা পযর্ন্ত। বর্তমান বাজারে আগাম জাতের আলু উঠায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১২৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে দ্বিগুনের চেয়ে বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানান। লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে ৩৮২০ হেক্টর। এবার আলুর বীজ ও বিভিন্ন উপকরনের দাম বেশী থাকার পরেও আলু চাষীরা ব্যাপক হারে আলুর আবাদ করেছেন। এই কারণে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হয়েছে। এই সব আলুর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল উফশী জাতের ও স্থানীয় জাতের আলু রয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার বোদা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাঠে মাঠে আলু চাষীরা আলু ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা গাছের গোড়ায় সার দিচ্ছেন কেউবা জমিতে পানি দিচ্ছেন আবার কোন কোন আলুর ক্ষেতে বালাইনাশক স্প্রে করছেন আলু ক্ষেতকে রক্ষার জন্য। এসময় কান্তমনি গ্রামের আলু চাষী রথীন্দ্রনাথ বলেন, এখন পর্যন্ত আলুর ক্ষেতে কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি। মাঝে মাঝে দুই একটি গাছে গোড়া পচন দেখা দিয়েছে। তবে এটার জন্য কৃষি বিভাগ পচন রোধের জন্য স্প্রে দিতে বলেছে। কান্তমনির গ্রামের আলু চাষী সামসুল ইসলাম বলেন, আমি মানুষের জমি বর্গা নিয়ে আলু চাষ করেছি ৩ বিঘা জমিতে। বর্তমানে আলুর বয়স হয়েছে প্রায় ২ মাস আরও ১ মাস পর আলুগুলি জমি থেকে তোলা হবে। গতবারের তুলনায় এবার আলু আবাদে খরচ বেশী পড়েছে। একই গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, আলুর ফলন ভালো হলে বাজারে আলুর দাম থাকলে লাভ হবে বলে আশা করছেন। এ ব্যাপারে উেপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহম্মেদ রাশেদ উদ নবী বলেন, বাজারে আলুর বীজের বাজার চড়া থাকার কারণে চাষীরা এবার আলু চাষে বেশী উৎসাহিত হয়েছেন। কেননা গতবারের তুলনায় এবার বাজারে আলুর দাম বেশী পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি বর্তমানে যে আবহাওয়া রয়েছে তা বিরাজমান থাকলে আলুর ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি আরও বলের, মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক আলু ক্ষেত পর্যবেক্ষন করছেন এবং চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন।