দিনাজপুর প্রতিনিধি :
দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত গন শুনানীতে দেশের অবহেলিত উত্তরাঞ্চলের দারিদ্র পিড়িত কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের বীজ সংকটের স্থায়ী সমাধানসহ কৃষি উপকরন সহজলভ্য এবং সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।
১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় দিনাজপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে খাদ্য নিরাপত্তা নেট ওর্য়াক এর উদ্যোগে কৃষক শুনানীতে এ দাবী জানানো হয়। কৃষক নেতা বদিউজ্জামান বাদলের সভাপতিত্বে কৃষক শুনানীতে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক সংহতির সাধারন সম্পাদক শরীফুজ্জান শরিফ ,জাসদ নেতা সহিদুল ইসলাম, আকতার আজিজ,এ্যাড: মেহেরুল ইসলাম,হবিবর রহমান, দয়ারাম রায়, রাসেল শাহীন, প্রমুখ। এছাড়াও দিনাজপুরের বিভিন্ন এরাকা হতে আগত কৃষক জাকির হোসেন,আশরাফ আলী,ইমরান হোসেন,আহসান হাবীব,রুহুল আমিন,কৃষানী সবিতা রায় ও রুবিনা আকতার আলোচনায় অংশ নেন।
গণ শুনানীতে কৃষক জাকির হোসেন বলেন চলতি মৌষুমে আলু বীজ সংকটে পড়ে এ অঞ্চলের আলু চাষীরা। নির্ধারীত মুল্যের চেয়ে বিএডিসি থেকে বেশী দামে বীজ কিনতে হয়েছে। বরাবরই মানসম্মত বীজ বাজারে পাওয়া যায় না। তারা আরো বরেন,বিএডিসি কৃষকের চেয়ে ডিলারের স্বার্থকেই প্রধান্য দেয় বেশী,একজন কৃষকের চাহিদার দশভাগের একভাগ বীজ পাচ্ছে। কিন্তু ডিলার থেকে বীজ কিনতে গিয়ে কেজি প্রতি ৩০ টাকা বেশী গুনতে হচ্ছে।
বক্তারা বলেন,কৃষি আস্তে আস্তে বহুজাতিক বীজ ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাচ্ছে,কৃষক জিম্মি হচ্ছে। ভেজাল বীজ বিক্রি হচ্ছে কিন্তু কৃষক প্রতিকার পাচ্ছে না। বক্তারা আরো বলেন,উত্তরাঞ্চলে সবজির দাম নেই,একটি ফুলকপি এখন টাকায় বিক্রি হচ্ছে কিন্তু ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ২৫টাকায়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আগে কৃষক নিজেরাই বীজ সংরক্ষন করতো।এখন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী গুলো সরকারের ঘরে বীজ সরবরাহ করে। এতে করে বীজের মান ঠিক থাকে না। গণশুনানীতে কৃষকরা সরকারের কাছে বীজ সংকটের স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন।
এছাড়াও বক্তারা বীজ বিতরনে অনিয়ম বন্ধ,বীজ সংরক্ষনে হিমাগার,কৃষক আদালত গঠন,কৃষকদের বীজের চাহিদার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহসহ আরো সুনিদিষ্ট কয়েকটি প্রস্তবনা তুলে ধরেন।