ঢাকাবুধবার , ১৮ এপ্রিল ২০১৮
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চিরিরবন্দরে সবুজে ছেয়ে গেছে বিস্তীর্ণ মাঠ

মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
এপ্রিল ১৮, ২০১৮ ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের শস্যভান্ডার হিসাবে পরিচিত চিরিরবন্দরে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কৃষকরা রেকর্ড পরিমান জমিতে বোরো রোপণ করেছে। যতদুর চোখ যায়,সবুজ আর সবুজ। নয়নাভিরাম এই সবুজের মেলা চলতি বোরো মৌসুমকে কেন্দ্র করে। সবুজের অরন্যে চলছে শেষ সময়ের সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, কোথাও বা আগাছা পরিষ্কার। ইতোমধ্যে ধানের গোছাগুলো বেশ শক্ক-পোক্ত হয়েছে। সারাদেশে পর্যাপ্ত সার ও কীটনাশক থাকায় আর পর্যাপ্ত পানির সুযোগে বোরোর গোছা নিজ পায়ে দাড়িয়ে মাঠগুলোকে করেছে চোখ ধাঁধানো সবুজ। উপযুক্ত পরিচর্যা ও প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতায় পুরোদমে এগিয়ে চলা চলতি বোরো মৌসুমে ফসলি মাঠ যেন এবার একটু বেশিই সবুজ। তাছাড়া বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং এর প্রভাবও পড়েনি। ফলে কৃষকরা যথাসময়ে বিপুল পরিমান জমিতে বোরো রোপণ করেছেন। রোপণকৃত চারাগুলো বড় হয়ে বিস্তীর্ণ মাঠ এখন সবুজে ছেয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ১৭ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে উফশী এবং ১ হাজার ৬৮৪ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার গড় লক্ষমাত্রা ১৮হাজার ৭০৪ হেক্টর জমি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা জমি গুলোতে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ অনেক আগে শেষ করে ফেলছে। এখন জমিতে প্রয়োজনীয় পানি,সার প্রয়োগের ব্যস্ত সময় পার করছে। এ ব্যাপারে উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের কৃষক জিয়াউর রহমান,মাষ্টার পাড়া গ্রামের আরিফ হোসেন, বানিয়া পাড়া ফজলুর রহমান জানান,তারা জমিতে আলু উত্তোলনের পরপরই জমি বোরো চাষের জন্য তৈরী করেন এবং জানুয়ারির শুরু থেকেই জমিতে বোরো বীজতলা রোপণ শুরু করে দেন। রোপণকৃত চারা গুলো এখন সতেজ হয়ে উঠেছে। আকস্মিক কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উপজেলার কৃষকরা এবার ব্যাপক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, এবার বোরো আবাদ নির্ধারিত লক্ষমাত্রা ছিলো ১৮ হাজার ৭০৪ হেক্টর। যা অতিক্রম করে ১৮ হাজার ৯২০ হেক্টর অর্জিত হয়েছে। কৃষি সম্পসারন বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে পার্চিং পদ্ধতি ও আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকা দমনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।