ষ্টাফরিপোটারঃ অতি স্বপ্ল খরচে পরিমিত অল্টারনেট ফারো সেচ পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করে কৃষককূল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ সেচ পদ্ধতির বদৌলতে কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষায়- অল্টারনেট ফারো সেচ পদ্ধতি খুবই যুগপোযোগী। সিআরজি ,এনএটিপি-২, বিএআরসি ঢাকা ও বিএআরআই জয়দেবপুর গাজীপুরের অর্থায়নে পানি সাশ্রয়ী উন্নত সেচ পদ্ধতির মাধ্যমে খরা প্রবন এলাকায় রবি ফসল উৎপাদন শীর্ষক “কৃষক প্রশিক্ষনে গতকাল বৃহঃস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় দিনাজপুর রাজবাড়ী আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের মিলনায়তনে গম ও ভূট্রা গবেষনা ইনিষ্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জাহিদুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য পেশ করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বিএআরআই,গাজীপুরের সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপ-প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. খোকন কুমার সরকার এর তত্বাবধানে বিভিন্ন জেলার খরা প্রবন এলাকায় টমেটো, ভূট্রা ,আলু ,সূর্যমূখী,বারি বিটি বেগুন-২ আবাদ করা হচ্ছে। এই সেচ পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে ভালো ফলন- ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
বিএআরআই গাজীপুরের সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবেদা খাতুনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এএসআইসিটি, বিএআরআই এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুল ইসলাম, বিএআরআই গাজীপুরের সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সুজিৎ কুমার বিশ্বাস, গম ও ভূট্রা গবেষনা ইনিষ্টিটিউট (দিনাজপুর) এর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মাহাফুজ বাজ্জাজ,বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান।
উপ-প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. খোকন কুমার সরকার বলেন, কৃষক দূর্জয় দাস তিতন, কৃষক মোঃ আব্দুল হালিম,কৃষক মোঃ সাদেক , কৃষক মোঃ আজাদ রহমানের পৃথক পৃথক ১৫ শতকের বারি বিটি বেগুন -২,বারি হাইব্রিড ভূট্রা -৯, বারি টমেটো-১৪,বারি আলু-২৫ জাতের আবাদ করে বাম্পার ফলন পাওয়া গেছে, স্বল্প খরচে পরিমিত সেচের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে। মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আবেদা খাতুন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, লাগসই কৃষি প্রযুক্তি,দক্ষ ব্যবস্থা,আধুনিক কলা-কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষক কূল এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের কৃষি নীতির ফলে কৃষি সেক্টরের অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সরকার বিভিন্ন খাতে উপযুক্ত সাবসিডি প্রদান করছে। যার ফলে কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজবাড়ী আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবা খানম, সহায়তা করেন বৈজ্ঞানিক সহকারী আশিকুর রহমান। অনুষ্ঠানের শেষার্ধে কৃষক কৃষানী ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগন বহুবিধ পানির সেচ ব্যবস্থাপনা উপর মুক্ত আলোচনা করেন।#