ষ্টাফরিপোটারঃ বাংলাদেশে মহামারী করোনায় কৃষি ও কৃষক রক্ষায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতি পক্ষ হতে দেশের সব উপজেলা ও জেলায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দ্দেশনায় মহামারী করোনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির পক্ষ হতে আট দফা দাবী নামা পেশ করা হয়।
গত ৩০ মে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কাছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি দিনাজপুর জেলা কমিটির মাধ্যমে করোনার ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত কৃষি ও কৃষক রক্ষায় সংগঠনের পক্ষ হতে আট দফা দাবীনামা পেশ করা হয়। দাবী নামা জমা দেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল ও সাধারন সম্পাদক দয়ারাম রায়। বাংলাদেশ কৃষক সমিতি সদর উপজেলা কমিটি একই দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ হতে সদর উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার শাহরিয়ার রহমান দাবী নামা গ্রহন করেন। দাবী নামা জমা দেন বাংলাদেশ সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি ইকবাল হাসান সিদ্দিকী, সাধারন সম্পাদক আসিক সরকার মুন্না। আট দফা দাবী নামা হলো, ১। সরকারের পক্ষ থেকে বোর ধান কাটা, মাড়াই ও নিরাপদে করে গড়ে তোলা যাহা কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়ে সহযাগীতা প্রদান এবং বেসরকারী হার্ভেস্টারের রেট নির্ধারন করে দেওয়া, ২। প্রতিটি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র চালু করে ২০ লক্ষ টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে ক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহন। গুদাম সংকট নিরসনে অগ্রীম টাকা দিয়ে কৃষকের কাছ থেকে কেনা ধান কৃষকের গোলায় অথবা অস্থায়ী ভাবে ভাড়া করা গুদাম ঘরে রাখতে হবে,৩। সবজি জাতীয় কৃষি পন্য সরকারী ব্যবস্থাপনায় বাজারজাত করা, ডিম-দুধ ত্রাণ সাহায্যের সাথে যুক্ত করে বিতরন করা। ত্রান সাহায্য বিতরনে দূর্নীতি স্বজন-প্রতি দলীয়করন বন্ধ করা, ৪। বিভিন্ন এলাকায় অনাবাসী ক্ষেতমজুরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা, ১০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা সহ নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা করা। এসব ক্ষেতমজুর পরিবারকে একমাস চলার ত্রান সাহায্য অগ্রীম প্রদান ও নায্য মজুরী নির্ধারন করা, ৫। বর্তমান সংকটকালে কৃষি ঋণ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারী সবজি চাষি, পোল্ট্রি, ডেইরী ও গবাদি পশু খামারীর জন্য ২% সরল সুদে ঋণ ব্যবস্থার ঘোষনা দেয়া, ৬। গ্রামাঞ্চলে কর্মরত সকল ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিবহন ও কৃষি শ্রমিকের সুরক্ষায় মাস্ক ও পিপিইর ব্যবস্থা করা, ৭। চিনি কল সমূহের কাছে আঁখ চাষীদের পাওনা ২০০ কোটি টাকা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে, ৮। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারী ক্রয় কেন্দ্র, খাদ্য গুদাম ও সবজি চাষ, অধ্যুষিত অঞ্চলে হিমাগার নির্মান করার উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।#