ঢাকাসোমবার , ৪ মে ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিরাপদ সবজির গ্রাম খানসামার শুশুলী

মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মে ৪, ২০২০ ৪:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: বর্তমান সময়ে বিষমুক্ত শাক-সবজি খাওয়ার কথা শুধু ভাবাই যায়, তা পাওয়া যায় না। কৃষকরাও নিরাপদ সবজি চাষ করতে চান না। তবে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শুশুলী গ্রামের কিষান-কিষানিরা। কৃষকরা উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ভোক্তাকে বিষমুক্ত শাকসবজি খাওয়ানোর সংকল্প নিয়েছেন। শীত মৌসুম থেকে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব,রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ছাড়াই নিরাপদ সবজি চাষাবাদ করছেন তারা। মানুষকে বিষমুক্ত শাকসবজি খাওয়াতে পারছেন এই ভেবেই তারা আনন্দিত। তবে এসব সবজির দাম অন্য সবজির চাইতে কিছুটা বেশি হবে জানান কৃষকরা।

এই কৃষকেরা সকলে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের শুশুলী গ্রামের বাসিন্দা। এই প্রচেষ্টার কারণে গ্রামটি এখন ‘নিরাপদ সবজির গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে। মোট ১২০ জন কিষান-কিষানি এবার তাদের জমিতে চাষ করেছেন বিষমুক্ত করলা,বেগুন,শসা,চাল কুমড়া ও পটল।

সোমবার সরেজমিন যেয়ে দেখা যায়, গ্রামের চারদিক সবুজ সবজির খেতে ভরা। কৃষকরা জানায় উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রশংসনীয় এই উদ্যোগের ফলে শুশুলী, ফরিদাবাদ এবং বাসুলী গ্রামের ৩৫ একর জমিতে চাষ হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি।

জমিগুলো ঘুরে দেখা যায়, মাঝে-মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে সেক্সফেরোমন ফাঁদ। এটি হচ্ছে কীটপতঙ্গ দমন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্লাস্টিক বক্স ব্যবহার করা হয়। যার দুপাশে তিন কোণা ফাঁক থাকে। পুরুষ পোকাকে আকৃষ্ট করতে স্ত্রী পোকার শরীর থেকে নি:সৃত এক রকম রাসায়নিক পদার্থ বা স্ত্রী পোকার গন্ধ ব্যবহার করা হয় ফাঁদে। এর আকর্ষণে পুরুষ পোকা ফাঁদের দিকে ধেয়ে আসে এবং ফাঁদে পড়ে মারা যায়। এতে করে জমির ফসল নিরাপদ থাকে। অতীতে এসব কীট দমনে ব্যবহার হতো বিষাক্ত কীটনাশক। সেক্সফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করায় জমির ফসল নিরাপদ থাকছে। এছাড়াও তারা রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ব্যবহার করছে জৈব সার ও ভার্মি কম্পোষ্ট সার। এতে খাদ্যমান ও পুষ্টি সঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

চাল কুমড়া চাষী শুশুলী গ্রামের মো¯তফা আহমেদ ও আইনুল ইসলাম বলেন,আগে আমরা জমিতে কীটনাশক স্প্রে করে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি আবাদ করেছি। তবে আমরা জানাতাম না এ সব ফসল বিষাক্ত এবং এসব খেয়ে মানুষেরা নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতেন। কৃষি বিভাগের কাছ থেকে জানতে পারি রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগে জমির ফসল বিষে পরিণত হয় এবং মাটির উর্বরতা কমে যায়। একারনে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভোক্তাকে আর বিষ খাওয়াব না। বর্তমানে আমাদের গ্রামের সবাই নিরাপদ সবজি চাষাবাদে সংকল্পবদ্ধ হয়েছেন।

ফরিদাবাদ এলাকার কৃষক ধরনী রায় ও ধনঞ্জয় রায় বলেন, বাজারে বিষমুক্ত সবজির দাম চাহিদা ও বেশী হওয়ায় অল্প খরচে ভালো টাকা উপার্জন সম্ভব হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, প্রতিটি উপজেলায় নিরাপদ সবজি গ্রাম করার বিভাগীয় নির্দেশনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাসুলী, শুশুলী ও ফরিদাবাদ গ্রামের কৃষদের সংগঠিত করে জৈবিক পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সম্মত সবজি উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সম্মত ফসল উৎপাদনের সুফল বুঝতে পেরে কৃষকেররা সহজেই এই পদ্ধতি গ্রহনে আগ্রহী হয়ে উঠেন। কর্মসূচীটি সফল বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদ হতে জৈবিক উপকরণ সরবরাহে অনেকাংশ সহযোগিতা করেছে। এছাড়াও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা উঠান বৈঠকসহ হাতে-কলমে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম জানান, বর্তমানে নিরাপদ সবজি পাওয়া বিরল। খানসামা উপজেলায় বর্তমানে কৃষি বিভাগের সহায়তায় নিরাপদ সবজির চাষাবাদ করা হচ্ছে। এটি ইতিবাচক দিক। তিনি আরো জানান, কৃষকদের উৎপাদিত নিরাপদ সবজির সঠিক মূল্যপ্রাপ্তি ও বাজারজাতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।