ষ্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস ২০২১ পালন উপলক্ষে হেমায়েত আলী পাবলিক লাইব্রেরি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তাগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, ব্যাপক গবেষণা ও লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। লেখক-গবেষকদের এ বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১১ ডিসেম্বর শনিবার রাতে হেমায়েত আলী পাবলিক লাইব্রেরির সভাকক্ষে লাইব্রেরির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভা এবং একই সাথে বিজয়ের সাহিত্য পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। লাইব্রেরির নির্বাহি কমিটির অন্যতম সদস্য, সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক আজহারুল আজাদ জুয়েলের সঞ্চালনে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও হেমায়েত আলী পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন আখতার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকালিন পশ্চিমাঞ্চলীয় জোন-১ এর সচিব আলহাজ¦ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সৃজনী সম্পাদক স্বরুপ বকসী বাচ্চু, হেমায়েত আলী পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি ও সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস অ্যাডভোকেট মেহেরুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রায়হান কবীর সোহাগ, দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক ও শব্দস্বর এর সাধারন সম্পাদক প্রফেসর মো. লাল মিয়া, মাটি ও কাঁসা সভাপতি অধ্যাপক জলিল আহমেদ, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুর শাখার সভাপতি ও গবেষক ড. আব্দুস ছালাম, বিরল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া নাহার মঞ্জু, সিটি কলেজের সহযোগি অধ্যাপক নূর-এ-আলম সিদ্দিকী, বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও দেওয়ানদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কায়ছার আলী, ঈদগাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান, জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসাইন বাবলু, ইশতিয়াকুল আলম চৌধুরী প্রিন্স, আতিকুর রহমান নিউ, প্রভাষক ইতি ইব্রাহিম প্রমুখ।
আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গল্প, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা ও কবিতা পাঠ করেন বিশিষ্ট গল্পকার মাহবুব আলী, শংকরপুর কলেজের অধ্যক্ষ মো. সোলায়মান সরকার, বিরল মহিলা কলেজের প্রভাষক আল আমিন, বিশিষ্ট কবি মোহাম্মদ আব্দুল হাই, কবি ও কলামিষ্ট জোবায়ের আলী জুয়েল, নজরুল বিষয়ক বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী নজরুল ইসলাম, গবেষক ও কবি চাষা হাবিব, বিশিষ্ট কবি ফাতেমা বেগম, বিভাগীয় লেখক পরিষদ দিনাজপুর এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিন, সাধারন সম্পাদক, কবি ও নাট্যাভিনেতা ওয়াসিম আহমেদ শান্ত, গল্পকার ও শিক্ষক কাওকাবুন নেছা, বিশিষ্ট কবি ও হাবিপ্রবির সহকারি রেজিষ্ট্রার অদিতি রায়, বিশিষ্ট কবি ও উপস্থাপক কমল কুজুর, বিশিষ্ট কবি ও কাব্য কথা সম্পাদক নিরঞ্জন হীরা প্রমুখ। আলোচনাকালে আলোচকগণ বলেন, রাজনৈতিক স্বাথে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধেও ভুল ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার দায়িত্ব হলো লেখক সাংবাদিক গবেষকদের।
সভাপতির বক্তব্যে মোজাম্মেল হক লেখকদের গবেষণাধর্মী লেখার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার জন্য তাগিদ দেন।
দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ বকসী বাচ্চু তার পত্রিকার নাম ‘সৃজনী’ রাখার কারন জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বালুরঘাটের খিদিরপুরে সৃজনী সংঘ নামের একটি ক্লাব ছিল যারা শরনার্থীদের মাঝে প্রতিদিন একবার খিচুড়ি বিতরণ করতো। সেই কথা স্মরণ করে আমার পত্রিকার নাম রেখেছি সৃজনী। অধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন আখতার বলেন, আমাদের বই আছে অনেক, কিন্তু পাঠক নাই। বই না পড়লে মানুষ কিভাবে জ্ঞানী হবে আর কিভাবে মুক্তিযুদ্ধকে জানবে? আমাদের দরকার বোদ্ধা লোক। যারা মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করবে।