ঢাকারবিবার , ২৩ এপ্রিল ২০১৭
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বীরগঞ্জে ফসল নষ্ট করে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক

মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
এপ্রিল ২৩, ২০১৭ ২:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বীরগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ তিন ফসলি কৃষি জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কেটে ফেলা হবে ৯একর জমিতে উঠতি বিভিন্ন ফসল। আর সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের মধ্য ভোগডোমা গ্রামের ৫০টি ভূমিহীন পরিবার।

তাদের দাবি ভুমিহীনদের জন্য এই প্রকল্প বাস্তয়ন হলে সর্বশান্ত হতে চলেছে ৫০জন ভুমিহীন বর্গা চাষী পরিবার। তাই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে অকৃষি জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বর্তমানে ৯একর জমিতে ভুমিহীন বর্গা চাষীদের চাষ করা ধান, ভুট্টা, কলা, করলা, বেগুন, ঝিঙ্গা রয়েছে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে ভোগডোমা গ্রামের মৃত জুরান আলী শেখের ছেলে মোঃ আব্দুল মান্নান গত ১৫এপ্রিল ভোগডোমা মৌজায় আশ্রয়ন প্রকল্প না করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে (স্মারক নম্বর-০৫.৫৫.২৭০০.০১১.০৭.০১৬.১৭.১৪৪৫(৪) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলম হোসেনকে সরেজমিন পরিদর্শন পুর্ব্বক ২৬এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন প্রেরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু এরপূর্বে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বেশ কিছু শ্রমিক ভূট্টা এবং কলাগাছ কাটতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে মধ্য ভোগডোমা গ্রামের ভূমিহীন পরিবারের শত শত নারী পুরুষ।

মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, বাপ দাদার আমল থেকে এই সরকারী জমি আমরা চাষাবাদ করে আসছি। দীর্ঘদিন ধরে জমির পরিচর্চা করার মধ্যদিয়ে উচ্চ ফলনশীল জমিতে পরিণত হয়েছে এই এলাকা। বছরে এখন তিনটি ফসল আবাদ হয়ে থাকে এই জমিতে। হঠাৎ করে সরকার এই কৃষি জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অথচ এর খুব কাছে আরো দুইটি আশ্রয়ণ রয়েছে। সেখানে থাকার কেউ নেই। আমরা মনে করি সরকারে এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতি। এতে এলাকার ভূমিহীন পরিবারগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং পথে দাঁড়াতে হবে তাদের।

মৃত ইব্রাহিমের পুত্র মো; আমিনুল ইসলাম জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্প বন্ধের জন্য লিখিত ভাবে আবেদন করার পরও আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু করায় আমার ২৩শত কলার চাষ কেটে ফেলতে হবে। অথচ মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে কলা আসবে গাছগুলিতে। এই অবস্থায় গাছ কেটে ফেলা হলে আমার ৩থেকে ৪লাখ টাকার ক্ষতি হবে। মুলধনের পুরো টাকাটাই আমার ঋণের টাকা। গাছ কেটে ফেললে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।