দিনাজপুর বার্তা২৪.কম : আদিকালে মানুষ গুরু গৃহে গিয়ে অবস্থান করে লেখাপড়া শিখত। সে সময় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। কিন্তু গুরু গৃহের বিলুপ্তিও হয়নি। আজ তা আধুনিক জগতে বহুদূর এগিয়েছে, আজ গুরু গৃহের স্থান দখল করেছে কোচিং সেন্টার, সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সহযোগীতা নিচ্ছে। আদিকালে গুরু গৃহে অবস্থান করে শিক্ষা গ্রহন করতে হতো। আর এখন কোচিং সেন্টারে গিয়ে শিক্ষা গ্রহন করতে হচ্ছে। এটাকেও বলা যেতে পারে গুরুগৃহ। এরুপ একটি আদি সনাতনী পদ্ধতিতে গুরু গৃহ স্থাপিত হয়েছে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ২নং সুন্দরবন ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের গাওধোয়া পাড়ায়। গ্রামের প্রয়াত প্রমোথ রায়ের পুত্র দ্বিজেন্দ্র নাথ রায় এখানে এলাকার কুলোগুরু প্রসৃদ্ধ ব্রাক্ষ¥ন প্রয়াত বিরেন্দ্র নাথ মুখার্জ্জীর পুত্র ব্র²চারী চিরকুমার দুর্য্যােধন মুখার্জ্জীকে গুরু গৃহ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমি দান করেন। ভক্ত বৃন্দের সহযোগীতায় আজ কুঁড়ে ঘর থেকে দ্বিতন ভবনের রুপ নিতে চলেছে। সেখানে এলাকার কিশোর-কিশোরীদের স্কুল শিক্ষার অবসরে গুরু গৃহে গীতা ভাগবত পাঠ সাংস্কৃতিক ভাষায় গীতার ¯েøাক মুখস্ত, গীতা ভাগবতের উপর বক্তব্য রাখা। শিক্ষা গুরু ও পিতা মাতা বয়োজ্যেষ্ঠদের সন্মান, ধর্মের প্রতি ভক্তি রাখা, শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় মনোভাব গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষা জীবনের শুরুতে ধর্ম চর্চা শুরু হলে ভবিষ্যতে সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত না হয় সে মনোভাব গড়ে তোলা হচ্ছে।
গুরুগৃহে বিগত ৫ বছর ধরে এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এর মধ্যে গত ২২ শে মাঘ ৬ ফেব্রæয়ারী বৃহঃস্পতিবার ৮ বছর হতে ১২ বছরের দুই শতাধিক কিশোর মাথা মুন্ডন ওরফে ন্যাড়া করে গুরুর নিকট থেকে উপনয়ন গ্রহন করে। এ সময় এলাকার সুধীজন সহ একাধিক ব্রা²ন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন বাবলু মুখার্জ্জী, বিপদ ভঞ্জন মুখার্জ্জী, প্রনব মুখার্জ্জী। উপনয়ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি গুরুগৃহে দিনব্যাপী পাঁচ শতাধিক ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহনে ধর্মীয় গান, ভজন কৃর্ত্তন, ধর্ম আলোচনা, সন্ধায় ক্ষিতিশ চন্দ্র সরকার ও মালতী রানী সরকারের কবি গান অনুষ্ঠিত হয়। সকল ভক্তবৃন্দ গুরুগৃহে প্রসাদ গ্রহনে তৃপ্তি লাভ করেন। #