দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইরাকের নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জানায়, মঙ্গলবার বাগদাদের কেন্দ্রস্থলে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করলে একজন নিহত ও বেশ কয়েজন আহত হন। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৪ বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সাত সদস্য আহত হন বলে সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে। বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ দিন বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে কয়েকশ বিক্ষোভকারী ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয় এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরাকের বিভিন্ন অংশে গুলিতে বহু সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীর নিহত হওয়ার বিষয়ে জবাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাদিমির সরকারকে অভিযুক্ত করে। নিজের নামের প্রথম অংশ ইউসুফ বলে জানানো একজন প্রতিবাদকারী আরেকজন আন্দোলনকারীর ছবি বহন করছিলেন, যাকে সম্প্রতি মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই মৃত্যুর জন্য তিনি অনামা মিলিশিয়াদের দায়ী করেছেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের মৃত্যুর সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র নেই বলে এর আগে দাবি করেছিল মিলিশিয়ারা। রটার্স জানিয়েছে, প্রতিবেশী ইরানের সমর্থন পাওয়া এই মিলিশিয়ারা ইরাকের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ভোগ করে। বার্তা সংস্থাটির একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর নিক্ষেপ শুরু করার পর মঙ্গলবারের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর আগে ২০১৯ সালে ইরাকজুড়ে চলা সরকারবিরোধী প্রতিবাদে কয়েকশ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিল, যার জেরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তার স্থান নেওয়া কাদিমি আন্দোলনকারীদের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু তিনিও কয়েকশ প্রতিবাদকারীকে কারাবন্দি করেছেন। ‘অপরাধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে’ বলে অভিযোগ করেছে ইরাকের সরকার। তারা এসব গোষ্ঠীকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছে আর মিলিশিয়াদের প্রভাব কমাতে অস্ত্রের ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।