দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ সিরিয়ায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের ওপর রকেট হামলা চালানো হয়েছে, তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।সোমবারের এ হামলাটি সিরিয়া ও ইরাকে ইরানের মিত্র মিলিশিয়া বাহিনীগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে চালানো হয়েছে, এমন ধারণা করা হচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী আত্মরক্ষার্থে রকেট হামলার জবাবে পাল্টা গোলাবর্ষণ করেছে। কর্নেল ওয়েইন মারাটো বলেন, “হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষের কেউ আহত হয়নি এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি।” যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের ওপর হামলার জন্য কারা দায়ী সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। সিরিয়ার দিয়ের আল জোর থেকে রয়টার্সের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইরানের সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী য্ক্তুরাষ্ট্রের সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস নিয়ন্ত্রিত ওমর তেল ক্ষেত্রের কাছে অল্প কিছু কামানের গোলা ছুড়েছে। রয়টার্স বলছে, এই রকেট হামলায় পাল্টাপাল্টি হামলা আরও বিস্তৃত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি ইরানের মিত্র মিলিশিয়া বাহিনীগুলোকে প্রতিরোধ করতে মার্কিন গোলন্দাজ সক্ষমতার সীমাবদ্ধতাও সামনে এসেছে। ইরাকে মার্কিন সৈন্য ও স্থাপনাগুলোতে ক্রমবর্ধমান ধারাবাহিক অত্যাধুনিক ড্রোন হামলার জন্য ওয়াশিংটন এসব মিলিশিয়া বাহিনীগুলোকে দায়ী করে আসছে। এর আগে রোববার ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। হোয়াইট হাউসও একই ধরনের বিবৃতি দেয়। দ্বন্দ্বের ঝুঁকি নিরসনের উপায় হিসেবে ‘প্রয়োজনীয়, যথাযথ ও সুচিন্তিত’ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ব্লিনকেন। ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া জোটের অংশীদার কাতায়িব সৈয়দ আল শুহাদা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববার সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় তাদের চার সদস্য নিহত হয়েছেন। এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে তারা। কিন্তু সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর কারা গোলাবর্ষণ করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি। ইরাকের সরকার তাদের ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার নিন্দা করেছে। এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে তারা ‘সব ধরনের আইনি বিকল্পগুলো যাচাই’ করে দেখছে বলে জানিয়েছে। ইরাকের সামরিক বাহিনীও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই হামলাকে ‘সিরিয়া ও ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেছে সিরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনা অনুযায়ীই এসব হামলা চালানো হয়। পাঁচ মাস আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। এর আগে ইরাকে মার্কিন অবস্থানে রকেট হামলার জবাবে ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় সীমিত পর্যায়ে বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বাইডেন।