একরামুল মুন্না, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০নং গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে বৈষম্যের স্বীকার হয়ে যুগ যুগ ধরে কৃষি শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছেন নারীরা। শীতের শুরুতে হাড় কাঁপানো শীত ও কুয়াশা কোন কিছুই তাদেরকে আটকিয়ে রাখতে পারে নি বাড়িতে। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতকে অতিক্রম করে বোরো চাষের জন্য চরম ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি কৃষি শ্রমিকরা। তাদের চোখে নেই ঘুম, শীতকে গরম মনে করে নেমে পড়েছে বোরো চাষের জন্য। অত্র ইউনিয়নে বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ কুয়াশার ও কনকনে হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যে কৃষি শ্রমিকরা বোরো রোপন করছেন।
যারা আলু চাষ করেনি তারা বোরো চাষের জন্য আগাম থেকে চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঠে কথা হয় গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের ঠাট পাড়া গ্রামের চাষি মো: মানিক আলীর সাথে তিনি জানান, সে এবার ৫ বিঘা জমিতে বোরো রোপন করছে। বিঘা প্রতি ৬ জন করে কৃষি শ্রমিক লাগছে। সে হিসেবে ৫ বিঘা জমিতে ৩০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। ১জন শ্রমিকে মুল্য দিতে হচ্ছে ৩ শত টাকা। ৩০ জন শ্রমিককে মুজুরি বাবাদ দিতে হচ্ছে ৯ হাজার টাকা।
১০নং গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের ইউপি সদস্য মো: রফিকুল ইসলাম তিনি জানান, সূর্য উঠার আগেই কনকনে শীতে বীজ তলার চারা তোলার জন্য নেমে পরতে হচ্ছে পানিতে। কৃষি শ্রমিকের মন চায়না এত ঠান্ডায় ভোর বেলায় পানিতে নামতে। কিন্তু কোন উপায় নেই পেটে ভাত দিতে হবে, পড়নের কাপড় দিতে হবে, পরিচালনা করতে হবে ছেলে মেয়েদের নিয়ে সংসার। একদিন কাজ না করলে পেটে জুটবে না ভাত। ইউনিয়ন থেকে আমি কৃষি শ্রমিকদের সার্বিক সহযোগীতা করে আসছি।
গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: কিবরিয়া জানান, এবার অত্র ইউনিয়ন জুড়ে বোরো চাষের জমি লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৫০ হেক্টর। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে চারা রোপন করা হয়েছে। যারা আমন ধান কেটে আলু চাষ করেনি সে সব জমির বেশির ভাগ কৃষকেরাই বোরো চারা রোপন করে ফেলেছেন। আসা করছি লক্ষ্যমাত্র পার হয়ে যাবে। আমি সব ধরনের সার্বিক সহযোগিতা বোরো চাষিদেরকে দিবো।