ঢাকাসোমবার , ১৭ জুলাই ২০১৭
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী লেখক ইয়াসির ইমরান মনির

মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
জুলাই ১৭, ২০১৭ ৪:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দিনাজপুর বার্তা২৪.কম :-২০১৭ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় আলোচিত উপন্যাস আকাশ ছোঁব। লেখকের নাম ইয়াসির ইমরান মনির। প্রকাশ করেছে মিজান পাবলিসার্স। বইটির সব কপি বিক্রি শেষ। খুব শীঘ্রই সংস্করণ কপি বের হবে বলে জানিয়েছেন লেখক। ‘আকাশ ছোঁব’ একটি অত্যাধুনিক উপন্যাস। বাস্তব ঘটনাকেই যেন কলমতুলির সুনিপুণ আঁচড়ে পাঠকদের সামনে হুবহু তুলে ধরেছেন ইয়াসির ইমরান। গল্পের প্রয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদী, সোনামসজিদ; কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্ট, ইনানী, হিমছড়ি, সেন্ট মার্টিন, ছেঁড়া দ্বীপ; খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও মহানগরী ঢাকার বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে বিচরণ করতে হয়েছে লেখককে। চরিত্র চিত্রণ, শব্দ চয়ন আর ঘটনার গাঁথুনি- সবক্ষেত্রেই সফল ইয়াসির ইমরান মনির। উপন্যাসটি প্রকাশ হবার পর থেকেই প্রশংসার ভেলায় ভাসাচ্ছেন সাহিত্য সমালোচক, সাংবাদিক আর শুভানুধ্যায়ীদের। তাইতো পরবর্তী বইমেলায় হাজির হবেন কবিতার বই ‘আজও মনে পড়ে’ নিয়ে। এছাড়া ছড়া ও ছোটগল্পও লিখে থাকেন এই শক্তিমান উপন্যাসিক। টিএসসি কেন্দ্রীক সংগঠন আবৃত্তিশীলন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ইয়াসির ইমরান। সংগঠনের আয়োজনে তিনি শিল্পকলা একাডেমি, টিএসসি ও টিএসসির পাশে সড়ক দ্বীপে আবৃত্তি অনুষ্ঠান করেছেন। আবৃত্তি অনুষ্ঠানে তার প্রিয় কবিতা ছিল, নির্মলেন্দু গুণের  ‘তোমার  চোখ এত লাল কেন’। তিনি আবৃত্তিশীলন এর স্থায়ী সদস্য। এছাড়া টিভি/রেডিও সংবাদ উপস্থানার প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেছেন তিনি। ‘ছলনাময়ী’ নামে একটি স্বল্পদীর্ঘ চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন ইয়াসির ইমরান মনির। কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য তার নিজেরই লেখা। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি অচিরেই টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাবে। প্রাথমিক শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে ৫০/১০০ পর্বের ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করা তাঁর স্বপ্ন। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতার বড্ড প্রয়োজন। ইয়াসির ইমরানের জন্ম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রানীবাড়ী গ্রামে। ডাকনাম মনির। সাত ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের ছেলে হিসেবে ছোটবেলা থেকেই তাঁর মেধা, মনন আর বুদ্ধিমত্তার কথা ছড়িয়ে পড়েছিল গ্রামে। স্থানীয় রানীবাড়ী সাহেবগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি লেখাপড়া শুরু করেন। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বরাবরই প্রথম হয়েছেন। বিদ্যালয়ের বিচিত্রানুষ্ঠানে কবিতা আবৃতি করতেন। রবি ঠাকুরের ‘বীর পুরুষ’ কবিতাটি মনির এতো চমৎকারভাবে আবৃত্তি করতো যে আজো মনে পড়ে সেই মুহূর্তগুলো, জানান বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক আব্দুর রহমান মাস্টার। বার্ষিক বিচিত্রানুষ্ঠানে ছিলেন মনির হয়ে উঠত সকলের মধ্যমনি। চাতরা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় শরৎচন্দ্রের মেজদিদি গল্পকে নাটিকা রূপ দিয়ে অভিনয় করেন সহপাঠীদের নিয়ে। তখন থেকেই ছড়া ও কবিতা লেখার সূত্রপাত। মাকে নিয়ে সেই অল্পবয়সেই মনির রচনা করেন ‘মা আমার স্বর্গ’ নামে একটি কবিতা। ১৯৮৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে শিবগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কলেজটি তখন প্রায় নতুন। ছাত্রছাত্রী খুবই কম ছিলো। দশ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বাইসাইকেল করে কলেজে যেতে হতো। কলেজ জীবনেই তার নিজ এলাকার রানীবাড়ী সাহেবগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “ডাকাত” নামে একটি স্বরচিত নাটক মঞ্চস্থ করেন। নাটকটির মঞ্চ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি নিজেই। এমনকি অভিনয়ও করেছেন দুটি চরিত্রে। নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার পর এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। স্নাতকে লেখাপড়া করার সময়ই জীবনের তাগিদে তাঁকে ছুটে যেতে হয়েছে ঢাকায়। যুগপৎভাবে চালিয়ে গেছেন চাকরি আর পড়াশোনার ভেলা। ১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে ইয়াসির ইমরান একাধিকবার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে ডিসেম্বরে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন উপজেলা প্রোগ্রাম অফিস, ফুলপুর, ময়মনসিংহে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।  ২০০৪ সাল পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আইটি পোস্টে যোগদান করেন, এখনো সেখানেই কর্মরত আছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় সারা দেশের কর্মচারিদের ন্যায্য দাবী আদায়ে  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং সংগঠনে জড়িত আছেন। তিনি সরকারি অনুমোদন নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড  টেকনোলজি থেকে বিএসসি ইন কম্পিউটার সাইন্স এ পড়ছেন।  ২০০৩ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার টিকুরিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষকের কন্যা নাজমা খানকে জীবনসঙ্গিনী করে সংসার জীবনে প্রবেশ করেন। বর্তমানে এই দম্পতির দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে সৈয়দা রায়তা সাফা মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ছোট মেয়ে সৈয়দা রাইসা শ্যামা টাইম ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিতে নার্সারীতে ভর্তি হয়েছে।

 

 

 

 

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।