ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী-বড়পুকুরিয়া সড়কের মোবারকপুর রেল গেটে (১১২ নং) ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪মে) সকাল সাড়ে ১০টায় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী খুলনা (রকেট মেইল) ট্রেনটি পার্বতীপুর থেকে ফুলবাড়ী যাওয়ার পথে মোবারকপুর রেল গেট (১১২ নং) এই দুর্ঘটনার ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার কনছের আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম (৪০)। তিনি ব্র্যাকের ক্রেডিট অফিসার হিসেবে নিলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ শাখায় কর্মরত ছিলেন। অপর ব্যক্তি নিলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারি পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের মৃত অলন্দ মোহন রায়ের ছেলে সুশান্ত রায় (৪২)। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই রেলগেটের পূর্বদিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে দুইজন আরোহী রেলগেট অতিক্রম করার সময় খুলনা মেইল ট্রেনটি পার্বতীপুর থেকে ফুলবাড়ী যাওয়ার পথে রেলগেট অতিক্রম করা সময় ওই ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাকেলসহ আরোহীরা প্রায় ১০০ গজ দূরে ছিটকে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সকাল ১১টায় পার্বতীপুর জিআরপি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রেলওয়ের কীম্যান মো. বিপ্লব ইসলাম জানান, আমি ওই সময় মোবারকপুর রেলগেটের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। উত্তর দিক থেকে খুলনা মেইল ট্রেনটি ফুলবাড়ীর দিকে আসছিল। আচমকা পার্শ্বরাস্তার পূর্বদিক থেকে ওই মোটরসাইকেলটি দ্রুত গতিতে রেল লাইন ক্রস করলে ট্রেনের সামনে পড়ে গেলে ট্রেনটি মোটরসাকেলটিকে ধাক্কা দিলে প্রচন্ড শব্দে রেলওয়ের ৩৬৪ নং ঘুটির কাছে ছিটকে পরে। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয় এবং মোটরসাকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
এদিকে নিহত হামিদুল ইসলামের সহকর্মী দেলোয়ার হোসেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, নিহত হামিদুল ইসলাম দুইদিন অফিস ছুটির কারণে মোটরসাইকেল যোগে এক সহকর্মীর বাড়ি রাজশাহী যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনার শিকার হন।
জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর আমিসহ আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। নিহতদের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।