বিরামপুর সংবাদদাতা ॥ বিরামপুর উপজেলার খাঁনপুর ইউনিয়নের বনের পাশে গভীর নলকুপের ড্রেনে জীবন্ত স্ত্রীকে পুঁতে রাখা লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ১১ জুন শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুর আদালতে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত জানান, উপজেলার নয়ানী খোশালপুর (দরগাপাড়া) গ্রামের উত্তর পাশে গভীর নলকুপের ড্রেনের ভিতর মানুষের হাত দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ গত বুধবার বিকেলে ঐ ড্রেন খুড়ে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে। ঐ লাশের মুখমণ্ডল পোড়া ও বিকৃত ছিল এবং শরীরের অন্যান্য অংশ অর্দ্ধগলিত ছিল।
থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মতিয়ার রহমান জানান, উদ্ধার করা লাশটি নয়ানী খোশালপুর (আদর্শ গ্রামের) মৃতঃ আব্দুর রহিমের পুত্র আব্দুর রউফের (৪০) ৪র্থ স্ত্রী হাসিনা বেগম ওরফে সুমি (২২)। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুর রউফকে বৃহস্পতিবার পুলিশ আটক করে। পুলিশ রউফকে ঘটনাস্থলে নিলে, সে উপস্থিত সকলের সামনে জানায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার খটখটিয়া কৃষ্টপুর গ্রামের মৃত: মজিবর রহমানের মেয়ে সুমির সাথে এক বছর আগে গোপনীয় ভাবে তার বিয়ে হয়। কয়েকদিন আগে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া সুমি স্বামীর বাড়িতে তুলে নেওয়ার জন্য রউফকে চাপ দিলে তাদের মাঝে বিতণ্ডা বাঁধে। এতে সুমি নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলে স্বামী রউফ স্ত্রী সুমিকে হাসপাতালে না নিয়ে গভীর নলকুপের ড্রেনে জীবন্ত সুমিকে পুঁতে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। তবে সুমির সদ্য প্রসূত কন্যা সন্তানটি কোথায় আছে তা সে জানায়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, ঘাতক স্বামী রউফের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ১১ জুন শুক্রবার বিকেলে তাকে দিনাজপুর আদালতে নেওয়া হয়েছে।