দিনাজপুর বার্তা ২৪ | Dinajpur Barta 24

হাবিপ্রবিতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের নবীনবরণ ও বিদায়ী ডীনগণের সংবর্ধনা
মোফাচ্ছিলুল মাজেদ এপ্রিল ১, ২০২২, ৮:৫৯ অপরাহ্ণ | পড়া হয়েছে ৪৫০ বার |

হাবিপ্রবি, দিনাজপুরঃ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে নবীনবরণ, বিদায়ী ডীনগণের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির সম্মানিত ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, ফিসারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. রেজওয়ানুল হক, অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোছা. নাহিদ আকতার, ফিসারিজ টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. রেয়াজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত ডীন প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ। আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষদের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।
এ সময় মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি আরও স্মরণ করেন মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদকে। তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে চান, সেই অভিযাত্রায় হাবিপ্রবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা রাখবে বলে আমি আশা করি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ২০০৯ সাল থেকে মৎস্যখাতে যে অগ্রগতি হয়েছে তা অভাবনীয়। ২০১৫-১৬ সালে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম মৎস্য উৎপাদনকারী দেশ ছিল বাংলাদেশ, ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় স্থান দখল করে নেয় এবং একুয়াকালচারে হয় ৫ম। ২০২০ সালে এসে এফএও বাংলাদেশকে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বিশ্বে ২য় ঘোষণা করে, যা আমাদের জন্য গর্বের। এই উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের আন্তরিকতা ও মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকগণের ভ‚মিকা অপরিসীম। তিনি আরও বলেন, প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎস হলো মাছ। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার সুপারিশ মতে আমিষের অভাব প‚রণের লক্ষ্যে জনপ্রতি বার্ষিক কম করে হলেও ১৮ কেজি মাছ খাওয়া উচিত। মাছে-ভাতে বাঙালি হওয়া সত্তে¡ও এ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আমাদের বার্ষিক মাছ খাওয়ার হার ছিল মাত্র ১৩ থেকে ১৪ কেজি। অথচ ২০২০ সালেই আমাদের জনপ্রতি বার্ষিক হার হয়ে গেছে ২৩ কেজি, যেখানে পৃথিবীতে ২০২০ সালে মাথাপিছু গড় হার ছিল ২০.৫ কেজি। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মৎস্য খাতে উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে এক উজ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে অনুষদের সাবেক সকল ডীনগণের মাঝে ক্রেস্ট তুলে দেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। পরবর্তীতে অনুষ্ঠানের সভাপতি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত ডীন প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এই পাতার আরো খবর -
৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
দিনাজপুর, বাংলাদেশ
ওয়াক্তসময়
সুবহে সাদিকভোর ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ
সূর্যোদয়ভোর ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ
যোহরদুপুর ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
আছরবিকাল ৩:৩৮ অপরাহ্ণ
মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১৪ অপরাহ্ণ
এশা রাত ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদকীয়