স্টাফ রিপোর্টার: ৬ জানুয়ারী স্মৃতি পরিষদ দিনাজপুর এর আয়োজনে ১৯৭২ সালের এই দিনে গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা ট্রানজিড ক্যাম্পে ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরণে প্রায় ৫ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মর্মান্তিকভাবে শহীন হন এবং গুরুত্বর আহত অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা পঙ্গুত্ব বরণ করেন। তাদের স্মরণে দিনটি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
৬ জানুয়ারী শুক্রবার সকাল ৯টায় চেহেলগাজী মাজারে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবরে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও সকাল ১০টায় মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে শহীদদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ ও সকাল ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ জানুয়ারী স্মৃতি পরিষদ দিনাজপুরের সভাপতি সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল হক ছুটুর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারন সম্পাদক সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চু। সম্মানীত আলোচ্যক হিসেবে আলোচনা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি দিনাজপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসাইন, এ্যাডঃ মেহেরুল ইসলাম, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব তারেকুজ্জামান তারেক, জেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সহিদুল্লাহ, বিশিষ্ট কবি নিরঞ্জন হিরা, এ্যাডঃ মোঃ রেয়াজুল ইসলাম রাজু, বাসদ নেতা সারওয়ার ক্লিপ্টন, বৈকালী নাট্য গোষ্ঠীর সাধারন সম্পাদক কাশী কুমার দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম নাজু, নাট্য সমিতির আবুল হান্নান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রদীপ ঘোষ, ভৈরবীর সাধারন সম্পাদক রহমতুল্লাহ রহমত, সমাজসেবক বিধান চক্রবর্তী বাসু, কবি তুষার শুভ্র বসাক, সাংসাদিক মোঃ মোফাসসিরুল রাশেদ, মোঃ মিজানুর রহমান (ডোফুরা)। বক্তারা বলেন, ১৯৭২ সালের এই দিনে মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা ট্রানজিড ক্যাম্পে ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরণে শহীদ হন প্রায় ৫ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাদের স্মরণে প্রতি বছর আমরা ভয়াবহ ৬ জানুয়ারী দিবসটি পালন করে আসছি। আমাদের প্রাণের দাবী হলো এই দিনটি জাতীয়ভাবে কিভাবে পালন করা যায় সে ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেইসাথে আমরা চাই দিবসটির কথা পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ হউক। যাতে আমাদের প্রজন্মরা সেদিনের ভয়াবহ এ ঘটনা জানতে পারবে এবং তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত হবে।
এছাড়া আমরা ৬ জানুয়ারী নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির সহযোগিতায় ইতিমধ্যে মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয় ৬ জানুয়ারীর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে। সেটা রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে।