২০ মার্চ, ২০১৮ খ্রি. মঙ্গলবার: জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে জেলার সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হতে উত্তরণের যোগ্যতা-অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে প্রেস বিফ্রিং অনুষ্ঠিত হয়। সিনিয়র তথ্য অফিসার- ভারপ্রাপ্ত মো: সোহেল মিয়া-্র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসক ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর। প্রেস ব্রিফিং এ তিনি বলেন- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিপত্র পেয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এই স্বীকৃতিপত্র জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের কাছে হস্তান্তর করেছে। গত ১৬ মার্চ, ২০১৮ এ স্বীকৃতিপত্র আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেয়া হয়। নিউইয়র্কে ত্রিবার্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সিডিপি। সবধাপ অতিক্রম করায় ২২ মার্চ সারা দেশ ব্যাপী সাফল্য উদযাপন করবে বাংলাদেশ। এটি আমাদের দেশের জন্য বড় মাইলফলক। স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণে তিনটি সূচকে স্থিতিশীলতা পর্যালোচনা করা হয়। সেগুলো হলো- ১. মাথাপিছু আয়, ২. মানবসম্পদ এবং ৩. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা/ অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা। তিনি আরো বলেন, মাথাপিছু আয় হিসেবে—জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল ইকোসক মানদ- অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে বছরে একটি দেশের মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১ হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার হতে হয়। বাংলাদেশের বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ সূচক হিসেবে—-মানবসম্পদ সূচক থাকা প্রয়োজন ৬৬, বাংলাদেশের অর্জন ৭২.৯ । অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হিসেবে—৩২ ভাগের কম হতে হয় । এক্ষেত্রে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪.৮ ভাগ। আবার এ অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে ২০২১ সালে সিডিপি। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ১৫ মার্চ ২০১৮ জাতিসংঘ সদর দফতরে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের কাঙিক্ষত বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সামাজিক খাতগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন সিডিপির সিদ্ধান্ত নিতে সহজ করেছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও সোনার বাংলার বিনির্মাণ পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিমাণর্, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মেট্রোরেল, রফতানিমুখী শিল্পায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও নারীর ক্ষমতায়ন। এ শুভযাত্রায় আগামী ২২ মার্চ, ২০১৮ বৃহস্পতিবার সারাদেশব্যাপী সাফল্য উদযাপন করা হবে । বক্তব্যের শেষে তিনি দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সেই ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপনে সকলকে আমন্ত্রন জানান। সর্বশেষে দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চেীধুরী নি¤œ -আয়ের দেশে থেকে ‘নি¤œমধ্যে আয়ের’ দেশে বাংলাদেশের উত্তরণের উদযাপনের লক্ষ্যে দিনাজপুর জেলায় আগামী ২০-২৫ মার্চ ২০১৮ প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ পালনের নিমিত্ত গৃহীত কর্মসূচি সকলের মাঝে ঘোষণা দেন। প্রেস ব্রিফিং- এ আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. জয়নুল আবেদীন।প্রেস বিজ্ঞপ্তি