ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট। ৫০শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১৭জন চিকিৎসকসহ ৫৭টি পদ শুন্য,অপারেশন থিয়েটার থাকলেও,বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে এখনো তা চালু করতে পারেনি কতৃপক্ষ। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হলেও শুধু জনবল সংকটের কারনে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেনা সাধারন রোগীরা। ফুলবাড়ী উপজেলার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও নিকটবর্তি স্থান হওয়ায় এই উপজেলার পাশবর্তি পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর, হরিরামপুর ও মোস্তফাপুর ইউনিয়ন, নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ও কুশদহ ইউনিয়ন, বিরামপুর উপজেলা খানপুর ইউনিয়নসহ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, মধ্যপাড়া পাথর খনি, বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীর মানুষ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।
কিন্তু এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বেশকিছু চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এতে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে অন্যত্র,চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানাগেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে,কার্ডিওলজি,শিশুরোগ,সার্জারী, চক্ষুবিদ্যা, গাইনী, স্কিন এন্ড ডিডি, অর্থোপেডিক, মেডিসিন, ইএনটি ও এ্যানেসথেশিয়ার ১১জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছে মাত্র একজন এ্যানেসথেশিয়া পদে, বাকি ১০টি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদেই শূন্য।
১৬টি মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও,কর্মরত রয়েছেন ৯জন। ৭জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর স্থলে কর্মরত আছে ৫জন। ৩০জন সিনিয়র নার্স এর স্থলে আছে ২৫জন, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেদ্রসহ মোট ৯৩ জনের ৩য় শ্রেনীর কর্মচারীর মধ্যে কর্মরত আছে ৬৮জন, ১৯জন ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীর মধ্যে আছে ১০জন। মোট ১৮৬টি পদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ৫৭টি পদেই শূন্য।
স্থানীয়রা বলেন,উপজেলার গুরুত্বপুর্ণ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে দির্ঘদিন ধরে জনবল সংকটের কারনে
চিকিৎসা সেবা নিতে অনেক সময় জেলা শহর সহ অন্যন্য জায়গায় যেতে হয়। এতে আর্থ সংকট সহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নেক দৃষ্টি কামনা করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মশিউর রহমান বলেন, তিনি যেটুকু জনবল রয়েছে তা দিয়েই সর্বত্তোম সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন,এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন এখনো অপারেশন থিয়েটারের অনেক যন্ত্রর প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ কিচিৎসক ও অপারেশন থিয়েটারের সরঞ্জাম পেলেই তিনি অপারেশন থিয়েটারটিতে অপারেশন করা শুরু করতে পারবেন। এতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীরা বিনা মূল্যে কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে পারবেন।