দয়ারাম রায় : দেশের স্বাধীনতা চেতনায় বিশ্বাসী মানুষদের স্বাধীনতা রক্ষায় সজাগ ও সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের অপশক্তি গুলো মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে।
গত ২১ শে সেপ্টেম্বর দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার ২ নং সুন্দরবন ইউনিয়নে ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ইউনিয়ন কমিটির আয়োজনে মতবিনিময় সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সফিয়ার রহমান প্রধান অতিথির বক্তেব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। তিনি আরও বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকামী জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য একটি অরাজনৈতিক সংগঠন তা হলো ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ। ২০১৭ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক নিবন্ধন লাভ হয়। এই তিন বছরে সারা দেশে লক্ষাধিক সদস্য সংগৃত হয়েছে যাদের বয়স আজ ৫৫-৭০। ৭১ এর আজকের বৃদ্ধদের বয়স ছিল ১৫-২০ বছরের তরতাজা যুবক। তারা অনেকে স্বাধিকার আন্দোলনে হাত গুটিয়ে বসে ছিল না। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে প্রতিরোধ ও যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশে, সেই সময় যুদ্ধের শুরুতে ৭১’ এর ২৩ মার্চের পরে দেশে আন্দোলনের দানা বাঁধলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্যাম্প ত্যাগ করে সরিয়ে আসা পুলিশ, ইপিআর, দেশের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুজাহিদ বাহিনীর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ হয়, অনেকে প্রাণ হারায় অপর দিকে দেশে পাক বাহিনীর বর্বরতা জ্বালাও পোড়ায়, গণহত্যা শুরু হলে এ দেশের অনেক যুবক ভারতে গিয়ে ট্রেনিং গ্রহন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। সেই সঙ্গে এ দেশের ট্রেনিং নেওয়া সহযোগী মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে থেকে কাজ করে। তাদের খাদ্য যোগায় রাতের রাধারে পথ দেখায়, অস্ত্র বহন করে। দেশ স্বাধীন হলে তাদের তথা আর কেউ স্বরণ রাখে নি। আজ ৭১’এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের পক্ষ থেকে দাবী তোলা হচ্ছে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধারে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তাদের অমর্যাদা করবেন না। তারা প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে তাদের মুল্যায়িক করা হোক। তারা জীবনের শেষ বয়সে স্বীকৃৃতি টুকু ধারন করে কবরে ও চিতায় যেতে চায়। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত কাজ তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে শেষ করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার রায়, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড় জেলা সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, স্থানীয় নের্তৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোজাম্মেক হক, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দিন শাহ, সমাজ সেবক তৌহিদ মোল্লা, শিক্ষাবিদ মন্মথ নাথ রায়, এ্যাড. দিজেন্দ্র নাথ রায়, দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, আলোচনা শেষে ৭১’এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ২নং সুন্দরবন ইউনিয়ন কমিটি পূর্ণগঠিত করা হয়। প্রস্তাব ও সমর্থনের মাধ্যমে দয়ারাম রায় কে সভাপতি, আব্দুর রাজ্জাককে সাধারণ সম্পাদক, তাজির উদ্দীনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, ইছার উদ্দিনকে সিনিয়র সাধারন সম্পাদক, আঃ হামিদকে সহ-সাধারন সম্পাদক, আঃ মান্নানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, দবির উদ্দিনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, মজিবর রহমানকে দপ্তর সম্পাদক, হরেন্দ্র নাথ রায়কে অর্থ সম্পাদক, মন্টু রায়কে প্রচার সম্পাদক, ফুলদেব রায় কে সহ-প্রচার সম্পাদক, নাজমুল হোসেনকে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট ২নং সুন্দরবন ইউনিয়ন কমিটি পুনঃগঠিত হয়।