দিনাজপুর বার্তা২৪.কম :- দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল পাথর খনি দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে গত অক্টোবর মাসে পাথর খনির উৎপাদন ইতিহাসে আরো একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। ওই মাসে সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৯ হাজার ২২ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনে সক্ষম হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার অধিক এবং উত্তোলন ইতিহাসে আরো একটি নয়া রেকর্ড। খনি সুত্রে জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনি ২০০৭ সাল থেকে বানিজ্যিকভাবে পাথর উত্তোলনের যাওয়ার পর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় উৎপাদন তাদের কাছে ছিল অধরা। খনির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০০/৭০০ টন হিসেবে মাসিক উৎপাদন ছিল প্রায় ২০/২৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলে খনিটি প্রায় শত কোটি টাকার উপরে লোকসানে পড়ে বন্ধের উপক্রম হয়। গত ২০১৩ ইং সালে জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সাথে পাথর খনির চুক্তির পর থেকে জিটিসি খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করে। তারা দ্রæত সময়ের মধ্যে তিন শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু করে খনি থেকে মাসিক লক্ষাধিক মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা যে সম্ভব সেই সম্ভবনার দ্বার খুলে দেয়। তবে খনি উন্নয়ন ও উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিদেশী মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশ পাথর খনি কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে আমাদানী করার ব্যবস্থা করতে না পারায় মাঝপথে প্রায় ২ বছর খনির উন্নয়ন ও উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় জিটিসি। ২০১৭ সালে জিটিসি’র খনির উন্নয়ন এবং উৎপাদনের জন্য বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞদের চাহিদা মাফিক বিদেশী মেশিনারিজ স্থাপনের ফলে পাথর উত্তোলন উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে সে ধারাবাহিকতা বজায় আছে। মসিক উৎপাদনের এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌছানোর ফলে জিটিসি তাদের অধীনে কর্মরত প্রায় সাড়ে ৭শ’ খনি শ্রমিকদের বেতন ও ওভার টাইমের সঙ্গে উৎপাদন বোনাসও প্রদান করছে। জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) সূত্র জানায়, পাথর খনিতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার পাশাপাশি পাথর উত্তোলন বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে দৈনিক পাথর উত্তোলন বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্তমানে মাসিক পাথর উত্তোলন পূর্বের সকল মাসের রেকর্ড অতিক্রম করে অক্টোবর মাসে খনি থেকে ১ লাখ ২৯ হাজার ২২ মেট্রিকটন পাথর উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে। মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে উৎপাদনের এই নতুন রেকর্ড সৃষ্টির ফলে খনিটিকে সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে এবং দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন।