
দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ফেব্রুয়ারিতে খবর পাওয়া যায় সংগীতশিল্পী বেজ বাবা সুমনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। গত বছর এই গায়কের চিকিৎসার জন্য জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল। করোনায় আটকে যায় যাত্রা। মিলছে না ভিসা। ভিসা জটিলতার কারণে আটকে আছে উন্নত চিকিৎসা। পরে জানা যায় এ শিল্পীকে ভারতে নেয়া হয়েছে। সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। কেমন হচ্ছে চিকিৎসা? কেমনই বা আছেন সুমন, তা জানালেন তিনি নিজেইভ ১৬ এপ্রিল রাতে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমার অবস্থা চলছে কোনরকম। সারাদিন হোটেলে বসে সাইবারপাঙ্ক খেলি আর তিন দিন পর পর হসপিটাল যাই থেরাপি করতে। নেক্সট মাসে ঢাকা চলে আসবো ইনশাআল্লাহ। কয়েকটা সার্জারি করাতে হবে। স্পাইনের অবস্থা খুব একটা ভালো না। সম্ভবত ঈদের পর জার্মানিতে গিয়ে করাবো।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘যারা বলে বেড়াচ্ছে আমি ‘মৃত্যুর দিন গুনছি’ তাদের কথা সিরিয়াসলি নিবেন না। একটু আগেও চেক করলাম, আমি যথেষ্ট পরিমানে ‘জীবিত’ আছি। যাই হোক, সবাই সাবধানে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।’ বেশ কয়েক বছর আগে চিকিৎসকেরা সুমনের শরীরে দুটি টিউমারের অস্তিত্ব পান। সেসময় জানা যায়, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। তখন ক্যানসারটি প্রথম ধাপে ছিল। এই গায়কের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর কিছুদিন পর চিকিৎসকেরা জানান, তার আবার ক্যানসার ধরা পড়েছে। আবারও সার্জারি করা হয়। ২০১৭ সালে সার্জারির পর ব্যাংককে হাসপাতাল থেকে ফিরছিলেন এই গায়ক। এমন সময় হঠাৎ একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সুমনের শরীরে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে ৯টি সার্জারি করা হয়। ওই দুর্ঘটনায় তার স্পাইনাল কর্ডের ক্ষতি হয়। নতুন করে সার্জারির জন্যই দেশ সেরা এই শিল্পীর জার্মানিতে যাওয়া খুব জরুরি। ১৯৮৬ সালে সুমন তার রক সংগীতের জীবন শুরু করেন। এই বছরই সুমন ‘ফ্রিকোয়েন্সি’ নামের একটি ব্যান্ড গঠন করেন। ১৯৯০ সালে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে সুমন বেস গিটার বাজাতেন। এ বছর সুমনের তার ব্যান্ডের নাম বদলে ‘রক ফ্যান্টম’ রাখেন। ‘সাইল্যান্স’ ব্যান্ডে সুমন লিড গিটারিস্ট হিসেবে যোগ দেন। এর কয়েকদিন পর তিনি ‘ফিলিংস’-এ বেস গিটারবাদক হিসেব বাজানো শুরু করেন। এলাকার স্টুডিওতে বেস গিটারবাদক হিসেবে বাজানো শুরূ করেন। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেইজ, ইন ঢাকা, সুইট ভেনম, রক ব্রিগেডে বেস গিটারবাদক হিসেবে বাজান। এই বছরই তার প্রথম এলবাম ‘সুমন অর্থহীন’-এর কাজ শুরু করেন।