ঢাকাবুধবার , ২২ নভেম্বর ২০১৭
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : যে কোন মুহূর্তে পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা

মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
নভেম্বর ২২, ২০১৭ ১১:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দিনাজপুর বার্তা২৪.কম: উত্তরবঙ্গের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদের কর্মসূচী ও পাল্টা কর্মসূচীতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিরোধের শুরু চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারী ড. মু. আবুল কাশেম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের প্রথম দিন থেকে।
অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের প্রথম দিন প্রটোকল অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর ড. মু. আবুল কাশেম’কে এয়ার পোর্টে রিসিভ করার জন্য গাড়ি পাঠানো থেকে বিরত থাকেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক ভিসি প্রফেসর মো. রুহুল আমিন। এরই ধারাবহিকতায় বিগত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটিতে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে তাদের মনোনীত প্রতিনিধি রাখা সহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়। বর্তমান ভিসি ড. মু. আবুল কাশেম সুষ্ঠ ভর্তি পরীক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে তাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেন এবং ভর্তি পরীক্ষা কমিটিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সাবেক ভিসি প্রফেসর মো. রুহুল আমিন সমর্থিত প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের শিক্ষদের নিয়োগ দেন।
গত ৫ থেকে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা-২০১৮ অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষার পরিবেশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা, বর্তমান ছাত্র ও ভর্তিচ্ছু অভিভাবকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত ৭-৮ বছরের চেয়ে এ বছর ভর্তি পরীক্ষা পরিবেশ ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল সবচেয়ে ভালো। এমনকি বিগত সালের ভার্তি পরীক্ষার ডিভাইস কেলেঙ্কারীসহ বিভিন্ন অনিয়ম এবছর কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার মান ও পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে। সেখানে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকেরা অভিবাভকদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ তোলার আগেই ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করে। অথচ ভর্তি পরীক্ষার কমিটিতে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের একাধিক শিক্ষক এই ভর্তি কমিটির সদস্য। কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তা পরীক্ষার পূর্বে কিংবা পরীক্ষা চলাকালীন সময় তা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে জানানো উচিত ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ জানায়, প্রতি ইউনিটে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ২০১৪ সালের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো: রুহুল আমিন এর সময় থেকে এ শিফট পদ্ধতি চালু করা হয় যা অদ্যবধি চালু রয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটি প্রতিটি শিফটের জন্য একই মানের প্রশ্নপত্র তৈরী করে, এবিষয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই।
হাবিপ্রবি’র ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. এস এম হারুন-উর-রশিদের অব্যাহতি প্রসঙ্গে ভাইস চ্যান্সেলর ড. মু. আবুল কাসেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক নিয়মে আমি নিজে ড. এস এম হারুন-উর-রশিদের সাথে কথা বলে তার অব্যাহতি বিষয়ে তাকে জানাই এবং পরবর্তীতে ২০ নভেম্বর ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক হিসেবে ড. শাহাদাৎ হোসেন খান লিখন কে দায়িত্ব প্রদান করি যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিয়মিত কার্যক্রম। কিন্তু একই দিন বিকেলে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আনিস খান, সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. বলরাম রায় পূর্বানুমতি ছাড়াই একদল শিক্ষক নিয়ে আমার কক্ষে প্রবেশ করে এবং প্রফেসর ড. এস এম হারুন-উর-রশীদের পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি পত্র প্রত্যাহার করার দাবি জানায়। আমি তাদের জানাই আজ বিকেল হয়ে গেছে এবং অফিসের বেশিরভাগ কর্মচারী-কর্মকর্তা চলে যাওয়ায় আগামীকাল তাদের দাবির বিষয়ে কথা বলা যাবে। কিন্তু তারা তদের দাবির বিষয়ে অনড় থাকে এবং ৩ ঘন্টা অবস্থান করার পর এক পর্যায়ে আমার রুমের ফ্লোরে শুয়ে পড়ে। আমি সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হওয়া সত্বেও ধৈর্য ধারন করি এবং পুলিশকে খবর দেওয়া বা কোন প্রকার বল প্রযোগ না করে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি। একজন শিক্ষক হয়ে আমি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর দিয়ে হেটে যাওয়া সমীচীন মনে করিনি। এরই এক পর্যায়ে ভাইস চ্যান্সেলর অবরুদ্ধ হওয়ার কথা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সাধারন ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আমাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে।
প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দের এহেন আচরন আমাকে ব্যথিত করেছে। সম্মানিত শিক্ষকদের কাছ থেকে আমি আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করেছিলাম। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে যা অনেকটা হাস্যকরও বটে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমান রয়েছে সে দিনের ঘটনার। যথাযথ সময়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তা তুলে ধরা হবে।
এদিকে সাধারন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নতুন ভিসি ড.মু. আবুল কাশেম হাবিপ্রবিতে যোগদানের পর থেকে ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ ও মান অনেক ভালো এবং স্থিতিশীল রয়েছে। ক্যাম্পাসে পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচী অব্যাহত থাকলে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তাদের।
একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে তাদের ব্যাক্তিগত ও গোষ্ঠীগত দাবী আদায়ের প্রচেষ্টায় হাবিপ্রবির সুনাম ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের প্রচেষ্টায় লিপ্ত এ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক সর্বপরি দিনাজপুরবাসী সহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।