দিনাজপুর বার্তা ২৪ | Dinajpur Barta 24

দিনাজপুর এম,আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ভর্তির পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়েও হতাশার মধ্যে মেধাবী শিক্ষার্থী সনাতন রায়।।
মোফাচ্ছিলুল মাজেদ অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ | পড়া হয়েছে ৬৯১ বার |

দিনাজপুর বার্তা২৪.কম :-দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ৬নং রনগাঁও ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামের অসহায় দরিদ্র রাজমিস্ত্রি শুভ চন্দ্র রায় ছেলে সনাতন চন্দ্র রায়
চলতি মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দিনাজপুর এম,আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়ে পিতার শেষ সম্বল একমাত্র গরু বিক্রি করে ভর্তি করালেও তার ভবিষ্যত লেখাপড়ার খরচ নিয়ে শংসয় প্রকাশ করেন তিনি ।
দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে সনাতন চন্দ্র রায় বড়। সনতানের ছোট বেলার স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার তাই খেয়ে না খেয়ে কষ্ট করে সনাতন সহ অন্য দুই ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে হয় পিতা শুভ চন্দ্র রায়কে। রাজমিস্ত্রি কাজ করলেও অনেক সময় হাতে কাজ থাকেনা তার জন্য সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকে। শত অভাব অনটনের মধ্যেও সনাতন রায় চন্ডিপুর এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এস,এস,সি ও ২০১৯ সালে সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচ,এস,সি পরীক্ষায় পাশ করে। মেডিক্যালেই ভর্তির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে সে মেধাবী তালিকায় ২৭৩৩ সিরিয়ালে উত্তীর্ণ হয়ে দিনাজপুর এম, আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে সুযোগ পায়। মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় সনাতনের গ্রামের মানুষ সহ আশপাশের মানুষজন ভীষন খুশি। তার পরিবারের পিতা-মাতা, ভাই-বোন,দাদা, দাদি সহ আত্মীয় স্বজনরা খুশি হলেও
স্বপ্ন পুরনে এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক সংকটের সমস্যা।
এতদিন কষ্ট করে পিতার রোজগারের উপর নির্ভর করে লেখাপড়ার খরচ বহন করলেও মেডিক্যালে পড়তে অনেক খরচ হওয়ায় সপ্ন ভঙ্গের আশঙ্কায় সনাতন।
একদিকে সংসারের খরচ অন্যদিকে লেখাপড়ার খরচ কোন দিকে সামাল দিবেন এই চিন্তায় আছেন সনাতন চন্দ্র রায়ের বাবা।
সমাজের কোনো স্বহৃদয়বান ব্যক্তি এই মেধাবী ছাত্রটিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন হয়তো পূরন হবে।।

এই পাতার আরো খবর -
২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
দিনাজপুর, বাংলাদেশ
ওয়াক্তসময়
সুবহে সাদিকভোর ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ
সূর্যোদয়ভোর ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ
যোহরদুপুর ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ
আছরবিকাল ৩:৩৮ অপরাহ্ণ
মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১৪ অপরাহ্ণ
এশা রাত ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদকীয়