
স্টাফ রিপোর্টারঃ
জাতীয় সংসদের হ্ইুপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, বিএনপি জামায়াতরা এ দেশকে মাদকের দেশ পরিনত করতে চেয়েছিল। তরুন সমাজকে মাদক তুলে দিয়েছিল। বানিয়েছিল সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। সেই তরুন সমাজকে আলোকিত করে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাড়িয়ে বাংলাদেশ। আগামীতে দিনাজপুর থেকে লিটন ও ধীমানের মত জাতীয় খেলোয়ার বের করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়াক্ষেত্রের প্রতিটি ইভেন্টকে অত্যাধুনিক করায় বহি:বিশে^ বাংলাদেশ এখন সফলতা অর্জন করছে। দিনাজপুরে খেলোয়াড়দের শরীর ফিট রাখতে অত্যাধুনিক জিম স্থাপন করা হবে। সেই সাথে ক্রীড়াক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতায় বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, করোনার এই মহামারিতেও পিছিয়ে নেই দেশে ক্রীড়া ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়া ব্যবস্থা যাতে করোনার মধ্যে থমকে না যায় সে জন্য সকল ধরনের সহযোগিতা করে আসছে। উন্নত দেশ গড়তে ক্রীড়া অন্যতম ভুমিকা পালন করবে। দেশের ক্রীড়া যত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ তত উন্নত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাদকের ভয়াবহ বিষাক্ত ছোবল আমাদের তরুন সমাজকে প্রতিটি মুহুর্তে বিপদগামী করছে। মাদকের ভয়াল থাবা হতে কিশোর যুবকদের রক্ষা করতে সরকার খেলাধুলার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। তা বাস্তবায়নে দিনাজপুরে ৪’শ ছেলে-মেয়ে ২২টি ইভেন্টে প্রশিক্ষিত হয়েছে বলে তিনি জানান।
হুইপ ইকবালুর রহিম আরও বলেন, আমাদের সন্তান ও যুবকদের মাদক নয়, খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে ১৭ কোটি টাকায় দিনাজপুর স্টেডিয়াম, দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রীড়া পল্লী, ২ কোটি টাকায় হকি মাঠ, ১১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জিমন্যাসিয়াম ও ৩৫ লক্ষ টাকায় খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়সহ প্রচুর অর্থ অনুদান দিয়ে দিনাজপুরের শিশু, কিশোর ও যুবকদের মাঠমুখী করা হয়েছে।
২৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি ক্রিকেটারস ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে দিনাজপুর গোর এ শহীদ বড় ময়দানে মামুন-পলাশ স্মৃতি ক্রিকেট টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ক্রিকেটারস ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলা শাখার সহ সভাপতি ধীমান ঘোষের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচিন চাকমা, দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক সুব্রæত মজুমদার ডলার, শহর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারন সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজু প্রমুখ।
বক্তব্যশেষে টুর্ণামেন্টের চূড়ান্ত খেলায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের খেলোয়াড়দের হাতে প্রাইজমানি এবং ট্রফি তুলে দেন প্রধান অতিথি।