
দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ কালকেই শুরু হবে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট। আর এই সিরিজ খেলার মাঝপথেই ভিন্ন ইস্যুতে উত্তপ্ত এখন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট। বেতন-ভাতা ও কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে লঙ্কান ক্রিকেটারদের। পরিস্থিতি যে স্বস্তিদায়ক নয়, এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লঙ্কান পত্রিকা দ্য আইল্যান্ড। সেই জানুয়ারি থেকে কোনও কেন্দ্রীয় চুক্তি ছিল না ক্রিকেটারদের। সেই চুক্তি নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের আগে। চুক্তিতে সই করতে বলা হলেও লঙ্কান ক্রিকেটাররা বেঁকে বসেছেন আগের তুলনায় বেতন-ভাতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায়। যেমন চুক্তির শীর্ষ ক্যাটাগরিতে কোনও ক্রিকেটার পূর্বের চুক্তিতে পেয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। সেই অর্থই নতুন চুক্তিতে কমে দাঁড়াতে পারে ৪৫ হাজার ডলারে! অর্থাৎ ২০০ শতাংশ বেতন কমে যাওয়া। এমনকি সিনিয়রিটির হিসেবে বোনাস প্রাপ্তির বিষয়টিও বাদ দেওয়া হয়েছে এবার। যেমন, ২০টি টেস্ট খেলা একজন ক্রিকেটার বাড়তি হিসেবে পেতেন ৫০০ মার্কিন ডলার, ৪০ টেস্ট খেলা ক্রিকেটার পেতেন ৭৫০ মার্কিন ডলার। ৬০ টেস্ট খেলা ক্রিকেটারের বেলায়ও সেটি বেড়ে দাঁড়াতো ১ হাজার ডলারে। বাড়তি এসব দেওয়া হতো প্রতিটি খেলা ম্যাচের জন্যই। কিন্তু নতুন চুক্তিতে এসব বাদ দেওয়াতে লঙ্কান শীর্ষ ক্রিকেটারদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর ওপর যারা একটি সংস্করণে খেলে থাকেন তাদের বেলায় বিষয়টা আরও উদ্বেগ জনক হয়েছে দাঁড়িয়েছে। যেমন- প্রথম ক্যাটাগরিতে অর্থের পরিমাণ ১ লাখ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনা হলেও এই অর্থ তারাই পাবেন, যারা তিন সংস্করণে খেলবেন। কিন্তু লাকমালের মতো পেসার যিনি শুধু টেস্টেই খেলে থাকেন, এখন পাবেন মাত্র ৪৫ হাজার ডলার। এমনটি হলে লাকমালের মতো পেসার দেশ ছেড়ে কাউন্টিতেই মনোযোগী হবেন। ইংল্যান্ডে তিন বছরের কাউন্টি চুক্তিতে তিনি এক মৌসুমে পেতে পারেন, এক লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং। যা আসলে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের দেওয়া বার্ষিক অর্থের চেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা নিজেদের আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করছেন। এক ক্রিকেটার দ্য আইল্যান্ডকে বলেছেন, বাংলাদেশ সিরিজ শুরুর আগেই লঙ্কানদের ক্রিকেট ডিরেক্টর টম মুডি নতুন চুক্তির বিভিন্ন বিষয় তাদের সামনে উপস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সেসময় নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে পারেননি মুডি। তাতে মনে হয়েছে যে, চুক্তির বিষয়টি ডিরেক্টর নন, অন্য কেউ তৈরি করেছেন!
অবশ্য চুক্তির সব কিছুই অস্পষ্ট নয়। নতুন চুক্তিতে এমন কিছু বিষয় যুক্ত হয়েছে, যা শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য কার্যকরী। যেমন কুশল মেন্ডিসের মতো কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত থাকলে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে তার।