
দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ সরকারি নিয়ম মেনে আইপিএলের মাঝপথেই বিরাট কোহলিদের করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু প্রতিযোগিতা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আপাতত তা থেকে সরে এলো বিসিসিআই। ক্রিকেটাররা বাড়ি ফিরে গেছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগেই তাদের ভ্যাকসিন নিতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। তবে জৈব সুরক্ষাবলয় ভেদ করে করোনা কীভাবে হানা দিল আইপিএলের আসরে, তা নিয়ে তদন্ত করতে চায় বিসিসিআই। মাঝপথে টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, মুখ পুড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। কারণ, গতবারও করোনা ছিল। কিন্তু আরব দেশে আইপিএল হয়েছিল সুষ্ঠুভাবে। জৈব সুরক্ষাবলয়ের কড়া নিয়ম মেনে চলেছিলেন ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফরা। এবারও জৈব সুরক্ষাবলয় ছিল। তার পরও একাধিক ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছেন, ‘জৈব সুরক্ষাবলয় থাকা সত্ত্বেও ক্রিকেটাররা কীভাবে আক্রান্ত হলো, সেটাই বড় প্রশ্ন। তদন্ত করে দেখতে হবে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। গতবার আইপিএল হয়েছিল আরব আমিরাতে। মাত্র তিনটি ভেন্যু ছিল। খুব বেশি বিমানযাত্রার প্রয়োজন পড়েনি। এবার যখন আমরা আইপিএল ভারতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তখন দেশে করোনা পরিস্থিতি এতটা খারাপ ছিল না। এখন মনে হচ্ছে, তিনটি ভেন্যু হলে ভালো হতো। সেক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকত। কিন্তু কাল কী হবে, কেউ বলতে পারে না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।’ কিন্তু আরব আমিরাতে যে কোম্পানি জৈব সুরক্ষাবলয় তৈরি করেছিল এবার তারা দায়িত্ব পায়নি। সৌরভ বলেন, ‘ভারতে ঐ সংস্থা বৃহৎ আকারে কাজ করে না। তাই চাইলেও তাদের দায়িত্ব দিতে পারিনি।’ বিপুল আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে স্থগিত আইপিএল সেপ্টেম্বরে সম্পূর্ণ করতে চাইছে বোর্ড। আর সেটা আন্দাজ করেই বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে সারে, ওয়ারউইকশায়ার, ল্যাঙ্কাশায়ারের মতো ইংল্যান্ডের কাউন্টিগুলো। সে বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও সৌরভ এটা জানিয়েছেন, ‘আইপিএল না হলে বিসিসিআইয়ের প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। তাই বিকল্প চিন্তাভাবনা চলছে। সবেমাত্র আইপিএল স্থগিত হয়েছে। তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।