হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি বেড়েছে। অন্যান্য পন্য আমদানির চেয়ে পাথর আমদানি বেশী হচ্ছে এ বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন ভারতীয় ৮০ থেকে ৯০ ট্রাকে আমদানি হচ্ছে পাথর। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেয়া রাজস্বের লক্ষ্য মাত্রা পুরুনে বড় যোগান আসে পাথর আমদানি থেকে। গত ৭ মাসে পাথর থেকে রাজস্ব এসেছে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা। আর পাথর আমদানি বেড়ে ওঠায় বন্দরের পানামা পোর্টে দেখা দিয়েছে জায়গা সংকটের।
পাকুর নামের পাথর আসে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে। আমদানিকৃত এই পাথর বেচাকেনা নিয়ে হিলি স্থবন্দরে গড়ে উঠেছে বিশাল বাজার। প্রায় প্রতিদিনই কোটি কোটি টাকার পাথর বিক্রি হয়ে থাকে এই বন্দর থেকে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল ও রুপপুর পারমানোবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ দেশের বৃহত্তর অবকাঠামো উন্নয়নে পাথরের চাহিদা বেড়েছে প্রচুর। আর এই বাড়তি চাহিদা পুরুন করতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে ভারতীয় পাকুড় পাথর।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক ফেরদৌস রহমান বলেন, স্থানীয় আমদানিকারকেরা বেশী বেশী করে পাথর আমদানি করছেন। তিনি আরও বলেন, হিলি স্থলবন্দর এখন পাথর নির্ভরশিল হয়ে উঠেছে। আর সব চেয়ে বড় রাজস্বের যোগান আসে পাথর আমদানি থেকে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, পাথর আমদানি বেশী হওয়ায় বন্দরের পানামা পোর্টে জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে অন্যান্য পন্য আমদানি হলেও দ্রুত খালাস করতে পারছেননা ব্যবসায়ীরা। ইতি মধ্যেই বন্দর কতৃপক্ষের ও রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা গন পানামা পোর্ট পরিদর্শন করেছেন। তারা জায়গা বরাদ্বের জন্য আশ^স্ত করেছেন। কিন্তু আজও জায়গা অধিগ্রহন করা হয়নি।
হিলি কাষ্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, রুপপুর পারমানোবিক বিদ্যুৎ কেদ্রের সরবরাহকৃত পাথর, বিনা শুল্কে ছাড় দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কাষ্টমস। এদিকে এই বন্দর দিয়ে ৭ মাসে পাথর আমদানি হয়েছে ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৭৬৮ মেট্রিক টন। যার বিপরিতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৭৫ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬৯ টাকা।