
বিরল সংবাদদাতা ॥ বিরলে আবারো সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে এক মোটরসাইকেল চালক। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী স্ত্রী ও ছেলেসহ দুই জন গুরুতর আহত হয়েছে।
৮ জুন মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বিরল উপজেলার ৩ নং ধামইর ইউনিয়নের গ্রীধরপুর এলাকার শিমুলতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন্ত দাস বালুয়াডাঙ্গা চাউলিয়াপট্টি এলাকার রবিন্দ্রনাথ দাসের ছেলে। এ ঘটায় প্রাইভেট কারসহ দু’জন ব্যক্তিকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, কাহারোল থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুর গামী প্রাইভেট কারটি শিমুলতলায় আসে বেশ দ্রুত গতিতে। আমাদের (স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী) ধারনা প্রাইভেট কারটি দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। তার ঠিক উল্টো দিক থেকে একটি মটসাইকেলে চালক সহ একজন নারী ও সন্তান কাহারোলের দিকে যাচ্ছিল। পথে গাড়িটি শিমুলতলা এলাকায় স্বজোড়ে মুখোমুখি ধাক্কা মাড়ে মটসাইকেলটিকে। এতে মটসাইকেল আরোহী ছিঁটকে একটি রাস্তার বেল গাছে ধাক্কা খায়। ধাক্কায় মটসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং বাকী দু’জনকে উদ্ধার পূর্বক এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে পুলিশে খবর দেন।
নিহতের ভাতিজা সৌগত দাস বলেন, আমার কাকু আজ দুপুর ১ টায় কাকিমা..আর আমার বোনসহ তাদের লিচু বাগান দেখার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দেয়। পরে তিনটার দিকে আমার বড় কাকুর কাছে একটি ফোন আসে এবং জানানো হয় আমার কাকু সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এবং কাকিমা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তার মুখের চোয়াল ফেঁটে গেছে।
বিরল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিকাল তিনটার দিকে সুমন্ত দাস নামে এক ব্যক্তি বিরল ধুকুরঝাঁড়ি বাজার থেকে কাহারোলের দিকে যাচ্ছিল। পথে শিমুল তলা এলাকায় কাহারোল থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার ধাক্কা দেয়। এ দূর্ঘটনায় পথেই সুমন্ত দাস নিহত হোন। বর্তমানে তার স্ত্রী, সন্তান এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্যই আইনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং পরিবারের সম্মতি ক্রমে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হবে।