ঢাকাশনিবার , ৮ জুলাই ২০১৭
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নার্সিং ইন্সটিটিউট-দিনাজপুর’র নবীন বরণ ও শিরাভরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হুইপ ইকবালুর এমপি রাজনীতিবিদদের সাথে নার্সিং পেশার মিল রয়েছে নার্সিং একটি মহান-মহৎ ও চ্যালেঞ্জিং পেশা

মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
জুলাই ৮, ২০১৭ ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ॥ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন, নার্সিং একটি মহান, মহৎ ও চ্যালেঞ্জিং পেশা। রাজনীতিবিদদের সাথে এ পেশার অনেক মিল রয়েছে। নার্সদের একটি হাসপাতালে, ক্লিনিকে বা কোন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে মানুষের সেবা করতে হয়। আর রাজনীতিবিদদের দেশের মানুষের সেবা করতে হয়। এটি একটি থ্যাংকলেস পেশাও বটে। কেননা, মানুষের জন্য অনেক কিছু করেও সন্তুষ্টি আদায় করা যায় না। মানুষের জন্য সারা জীবন কাজ করেও আমরা মানুষের সন্তুষ্টির জায়গায় পৌছতে পারি না। গত ৮ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানুষের সবার হাতে হাতে মোবাইল পৌছে দিয়েছেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে গ্লোবালাইজেশনের আওতায় এনেছেন। শেখ হাসিনা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট মানুষের সহজলভ্য করেছেন। ইন্টারনেটের বদৌলতে এখন মানুষ মহুর্তেই বিশ্বের যে প্রান্তের মানুষের সাথে কথা বলতে ও ছবি দেখতে পারেন অনাহাসে। ইকবালুর রহিম বলেন, আগে আমরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম। তখন বাবা ডাকযোগে টাকা পাঠালে ৩ দিন পর পেতাম। তখন আমরা পিয়নের দিক চেয়ে জানালা খুলে বসে থাকতাম। কখন বাবার টাকাটা পাবো। কিন্তু এখন দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে টাকা আসতে ৩ মিনিটও লাগে না। এ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। কিন্তু এরপরও আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি না। শুধু তাই না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই কেবল নার্সদের বেতন এখন সর্বচ্চো ২১ হাজার টাকা করেছেন। তাদেরকে গেজেটেট কর্মকর্তা করেছে। তিনি একযোগে ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। তো যেই সরকার এতো সুযোগ সুবিধা দিল, সেই সরকারের উপকারটা স্বীকার করা উচিৎ। যারা এটা করবে না তারা অকৃতজ্ঞ। আর অকৃতজ্ঞ ব্যাক্তিরা বেহেশতে যাবে না। এজন্য আমাদেরকে অন্তত কৃতজ্ঞতা প্রকাশের স্বার্থে সন্তুষ্টির জায়গায় আসতে হবে।

গত ৭ জুলাই শুক্রবার রাতে নার্সিং ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর’র নবীন বরণ, শিরাভরন (কোমর বন্ধনী) ব্যাচ পরিবর্তন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ এস.এম ওয়ারেস আলী সরকার, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বি. কে বোস। দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মওলা বক্স চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নার্সিং ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর’র নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ মোসাঃ জেরিনা খাতুন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ও দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ওয়াহেদুল আলম আর্টিষ্ট। প্রতিষ্ঠানটির ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সোমনাথ রায়, সুরভী বিশ্বাস ও ঈশিতা খাতুনের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় এতে ইংরেজী ভাষা শিক্ষার জন্য জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলমের ভূমিকায় ধন্যবাদ জানিয়ে ইংরেজিতে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির ৩য় বর্ষের অপর ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এরপর প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র হাফেজ মঞ্জুরুল ইসলামের সুললিত কুরআন তেলাওয়াত, শিউলি রায়ের গীতা পাঠ এবং মুক্তা রোজারিওর বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে সমবেত কন্ঠে মঙ্গল সঙ্গীত হিসেবে রজনীকান্তের বিখ্যাত “তুমি নির্মল কর-তুমি মঙ্গল কর” গানটি পরিবেশনের পর নার্সদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রতিষ্ঠানটির ইন্সট্রাক্টর মোছাঃ রজিফা চৌধুরী। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীদের কোমর বন্ধনী প্রদানের পর হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি ওয়ার্ল্ড লিডারশীপ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় তাঁকে নিয়ে রচিত একটি গান পরিবেশন করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারপর অতিথিবৃন্দকে ক্রেষ্ট তুলে দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি আরও বলেন, আমরা এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামীতে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হবে। সেইসাথে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ১০০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু করা হয়েছে, ভবিষ্যতে তা বাড়ানো হবে। শুধু তাই নয়, সেখানে কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। আনা হয়েছে এমআরআই মেশিন, সিটিস্ক্যানসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। তিনি বলেন, আমরা সদর উপজেলার ৫৮ হাজার বাড়ীতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছি। সদর উপজেলার গ্রামাঞ্চলের এক ইঞ্চি রাস্তাও এখন আর কাঁচা নেই। আমি ব্যাক্তিগত উদ্যোগে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আড়াই’শ কোটি টাকা এনে দিয়েছি। এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবার মানোন্নয়নে অল্প কিছুদিন আগেই দেয়া হয়েছে ১১০ কোটি টাকা। শুধু এখানে না, পুরো বাংলাদেশে অর্থনীতির সকল সুচকে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে। আমরা এখন আর কোনদিকে পিছিয়ে থাকতে চাই না। তাইতো দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত এশিয়ার সবচেয়ে ঈদগাহ মাঠ আজ সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এবারের ঈদের নামাজ ৫টি টিভিতে লাইফ টেলিকাষ্ট করেছে। আমরা দিনাজপুরকে সবদিক থেকে পরিচিত করতে চাই।

নবীন নার্সদের উদ্দেশ্যে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশে পৌছাবো। তোমাদেরকে সেই বাংলাদেশের নার্স হতে হবে। শুধু তাই নয়, বিদেশেও এ পেশার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তোমাদেরকে সেই বিশ্বমানের নার্স হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তোমাদেরকে সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তোমাদের বাবা-মার মত তোমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন শেখ হাসিনা। ভালো ব্যবহারে রোগী অর্ধেক ভালো হয়। তাই ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে তোমাদের রোগীদের সর্বচ্চো সেবা দিতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হুইপ ইকবালুর রহিম সাংস্কৃতিক সরঞ্জামাদি ক্রয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষনা দেন। সেই সাথে বিনোদনের জন্য একটি টেলিভিশন প্রদানের কথা ঘোষনা করেন। নাইট গার্ড, মালি, বাবুর্চি সংকটসহ আরও যেসব সমস্যা রয়েছে, তাও আগামী ৪ মাসের মধ্যে সমাধান হবে বলে জানান। আর আবাসিক হল ও কম্পিউটার ল্যাব নির্মাণে পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দেন।

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।