
নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতাঃ
ধীর গতিতে করতোয়া নদী ভাঙনে হারিয়ে যেতে বসেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের কৃষি ফসলী জমিসহ ৫ হাজার পরিবার হুমকির মূখে। নদীর গতি পরিবর্তন করতে পারলে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান। ভাঙ্গনের কবলে গ্রামগুলো হলো, উপজেলার বিনোদনগর ইউপির করতোয়া নদী ঘেষা ভোটারপাড়া, কাঁচদহ, উ. কাঁচদহ, উ. মাঝিপাড়া ও দ. মাঝিপাড়া। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, করতোয়া নদীর প্রবাহ ছিল তাদের গ্রামের প্রায় ১ কিমি পূর্ব দিক দিয়ে। সেই প্রবাহ ভাঙতে ভাঙতে এখন কয়েক বছরে গ্রাম পর্যন্ত ভাঙা শুরু হয়েছে। এতে করে অনেকের বাড়ী-ঘরসহ জায়গা জমি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। আবার নদী ভাঙনে বাড়ী-ঘর ছেড়ে যেতে হয়েছে ভোটারপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম, মুনছুর আলী, ইয়াকুব আলীসহ প্রায় ৫০ জন পরিবারকে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হুমকির মূখে রয়েছে ওই গ্রামের আজিজুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার। এছাড়াও ভাঙনের কবলে কৃষি জমি, ঘরবাড়ী, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ অনেক সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। বিনোদনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সানাউল হক জানান, উত্তর থেকে ঘৃনাই ও যমুনাশ্বরী নদী এসে ভোটারপাড়া এলাকায় করতোয়ায় মিলিত হয়ে পানির তীব্র স্রোতে এসব ভাঙন হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান- প্রতিবছর নদী যেভাবে গ্রাস করছে তাতে শুধু ওই গ্রামগুলোই নয়, নদীর গতি পরিবর্তন করতে না পারলে সদ্য নির্মিত ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতুও ভবিষ্যতে হুমকির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, নদী পূর্বে যেদিক দিয়ে প্রবাহিত ছিল সেদিকে প্রবাহের ব্যবস্থা করা হলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য প্রায় ৫ কিমি নদী খনন করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদনও করেছিলেন। সম্প্রতি নবাবগঞ্জ উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ও বিস্তুর আলোচনা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই ২০১৮ ক্ষতিগ্রস্থ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী, নির্বাহী অফিসার মোঃ মশিউর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ পারুল বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রেফাউল আজম, প্রকৌশলী মোঃ আঃ কুদ্দুস, বন কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার, বরেন্দ্র উপ-সহকারী মোকছেদ আলী, উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সা:সম্পাদক শাহ জিয়াউর রহমান মানিক, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.রুহুল আমিন প্রধান ও সা:সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান মিলন প্রমুখ। এছাড়াও নদী ভাঙন ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। পরিদর্শনকালে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উ-সহকারী প্রকৌশলী এম.এ রউফ ও আঃ মালেক হাওলাদার জানান- ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।

 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    