দিনাজপুর প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদের হ্ইুপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, দিনাজপুরের ক্রীড়াঙ্গন এখন অনেক আলোকিত, অনেক উজ্জ্বল। জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরী হচ্ছে দিনাজপুর থেকে। যা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে সাড়ে ৫ কোটি টাকায় দিনাজপুর স্টেডিয়াম, দেড় কোটি টাকায় ক্রীড়া পল্লী, ২ কোটি টাকায় হকি মাঠ, ১১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় জিমন্যাসিয়াম ও ৩৫ লক্ষ টাকায় খেলাধুলায় সরঞ্জাম ক্রয়সহ প্রচুর অর্থ অনুদান দিয়ে দিনাজপুরের শিশু, যুবকদের মাঠমুখি করা হয়েছে। এছাড়াও দিনাজপুর স্টেডিয়ামের পাশে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আন্তর্জাতিকমানের ইনডোর স্টেডিয়াম বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পথে। শিঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।
সাবেক খেলোয়াড়দের এ ধরনের টুর্নামেন্টকে সাধুবাদ জানিয়ে আগামীতে তা চলমান রাখতে সবার্ত্বক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্রীড়াসহ সকল পর্যায়ের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।
৩ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে শহরের গোর ই শহীদ বড় ময়দানে দিনাজপুর সাবেক ক্রিকেট খেলোয়াড় ও সংগঠকবৃন্দ আয়োজিত তৃতীয় দিনাজপুর মাষ্টার্স কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০১৮ এর চূড়ান্ত খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।
হ্ইুপ ইকবালুর রহিম এমপি এর প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠানে তৃতীয় দিনাজপুর মাষ্টার্স কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আহবায়ক প্রকৌ. মতিউর রহমান মতি এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সূজা উর রব চৌধুরী, জেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. মোছাদ্দেক হুসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন।
এছাড়াও ধারাভাষ্যকার মো. রফিক এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা পরিষদের সদস্য ফয়সল হাবিব সুমন।
বক্তব্যশেষে তৃতীয় দিনাজপুর মাষ্টার্স কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০১৮ এর চূড়ান্ত খেলায় চ্যাম্পিয়ন মাতাসাগর ঠান্ডার্স এর টিম ম্যানেজার এনাম উল্লাহ জ্যামীসহ সকল খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রধান অতিথি টুর্নামেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।
উল্লেখ্য, চুড়ান্ত খেলায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চ্যাম্পিয়ন দল মাতাসাগর ঠান্ডার্স ১৩৯ রান করে। জবাবে সুখসাগর ওয়ারিয়র্স ২০ ওভারে ১১৪ রান করে রানার্স আপ হয়।