দয়ারাম :-
আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস ও করোনায় বেঁচে থাকার শ্রমিক আন্দোলন। শ্রমিক শ্রেনীর অবদান পৃথিবীতে অপরিসীম। মানুষ হিসেবে শ্রমিক পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে পৃথিবী গড়ার কাজে শ্রমিক নিয়োজিত আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। শ্রমিক ছাড়া পৃথিবী অচল। এখানে শুধু সাধারন শ্রমিকের কথাই বলা হচ্ছে না। যারা মে দিবসের শ্রমিক আন্দোলনের অর্জিত ফসল ৮ ঘন্টা শ্রম ভোগ করছেন তাদের কথাও বলা হচ্ছে। এক জন কারখানা মালিকের উদাহরন টেনে বলা যায় মালিক শুধু মালিকই, মালিকের সব কিছু শ্রমিকের রক্তে গড়া। ধরুন প্রথমে তার বাড়ি তার অট্টালিকা নির্মান শুরু শ্রমিক দিয়ে। অট্টালিকায় যাহা প্রয়োজন রং, ফার্নিচার, দরজা হতে শুরু করে মালিকের জীবন চলার গতিই শ্রমিক। খাদ্যের জন্য রাধুনী, বাবুর্চি বুয়া, গার্ড, সুইপার, ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভার, বডিগার্ড, অফিসের পিয়ন কর্মচারী মালিকের জীবন চলে শ্রমিকদের দিয়ে। যদি সর্ব স্তরের শ্রমিক ঐক্য হয়ে একদিন কাজে না আসে তাহলে মালিকের জীবন অচল হয়ে পড়বে, তাই তাদের সমাজে পরগাছা বলে থাকে। একদিন মালিকের কাজে না গেলে মালিকের কি ক্ষতি হবে রাধুনী/বাবুর্চি না গেলে তার খাওয়া হবে না, পানির ট্রাংকিতে পানি না থাকলে গোসল হবে না, ড্রাইভার না থাকলে গাড়ি চলবে না, বডিগার্ড ছাড়া নিরাপত্তা বিঘিœত হবে, তার কারখানা বন্ধ থাকবে, অফিস চলবে না, জীবন অচল হয়ে পড়বে। পরগাছারা শুধু তাদের বুদ্ধি ও শক্তি দিয়ে এ সমাজ ধরে রেখেছে। তাদের সংখ্যা অতি অল্প। শ্রমিক শ্রেনীকে তারা নিজের স্বার্থ রক্ষায় শ্রমিকদের দিয়ে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে খুন করছে, অনেক সময় কারখানায় শ্রমিকদের দিয়ে নিজের পেটুয়া বাহিনী তৈরি করে আন্দোলরত শ্রমিককে পেটায়। শ্রমিক শ্রেনীর স্বার্থবিরোধী কাজে শ্রমিকদের লেলিয়ে দেয় তারা। শ্রমিক বুদ্ধিজীবিদের টাকা অর্থ ও অস্ত্র দেখিয়ে কন্ঠরোধ করে। কলম তাদের পক্ষে ধাবিত করে। শ্রমিকের স্বার্থ ও মালিকের স্বার্থ ভিন্ন কিন্তু আজ শ্রমিকের ভঙ্গুর অবস্থার সুযোগ নিয়ে মালিক শ্রমিক তথাকথিত ঐক্য গড়ে উঠেছে। কিছু সুবিধাবাদী শ্রমিক নেতা মালিক শ্রেনীর দালালী করে শ্রমিক ঐক্য ধরে রেখেছে। এ সব শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেনীকে সজাগ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে ও ধরে রাখতে হবে। স্বার্থ রক্ষায় শ্রমিক শ্রেনীর আন্দোলনের বিকল্প নেই।
করোনা শ্রমিক শ্রেনীকে ঐক্য গড়তে শিখিয়েছে, না খেয়ে থাকতে শিখিয়েছে। করোনায় শ্রমিকদের দিয়ে কারখানায় কাজ করানো হচ্ছে, কাউকে আবার কারখানা থেকে তারিয়ে দিয়েছে বেতন না দিয়ে। শ্রমিকরা মহামারী করোনাকে উপেক্ষা করে শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। গত ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঢাকার রুপনগর এলাকার মনির ফ্যাশন নামের গার্মেন্টসের শতাধিক শ্রমিক প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের দাবী তিন দফা সময় নিয়েও গার্মেন্টস মালিক মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেনি। এ দিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই কারখানা খোলার কথা বলে তাদের বাড়ি থেকে ডেকে এনেছে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ। আসার পর সরকারি ঘোষনা মোতাবেক আবার গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষনা করা হয়। ইতিমধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করার জন্য মালিককে তিন বার সময় দেয়া হয়েছে। সর্ব শেষ ১৬ এপ্রিল মার্চ মাসের বেতন দেয়ার কথা। অথচ গার্মেন্টসে গিয়ে শ্রমিকরা দেখে তালা লাগিয়ে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে। এর পর শ্রমিকরা প্রতিবাদে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের আতস্ক নিয়েও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন।
আবারো নয় দিন পর ২৬ এপ্রিল রবিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক রনক্ষেত্র, করোনা ঝুকি মাথায় রেখেই খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের বেশ কিছু পোশাক কারখানা। এতে করোনা সংক্রমনের শঙ্কা থাকলেও মালিক পক্ষের দাবী, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই কারখানা খুলছেন তারা। তবে কাজে যোগ দিয়ে ভাইরাস প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না পেয়ে অনেক স্থানেই বিক্ষোভ দেখিয়েছে শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে বকেয়া বেতন ও কারখানা বন্ধ রেখে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ও আন্দোলন হয়েছে। গাজীপুরের ভোগরা, টঙ্গী ও শ্রীপুরের এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে উত্তেজিত শ্রমিকরা তিন মোটর সাইকেল ও আটটি বাইসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে টাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে শিল্প পুলিশ কাঁদনে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আজ কৃষি শ্রমিকদের মহামারী করোনাতে হাওরে ধান কাটার নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ধান কাটা কম্বাইন্ড মেশিনে কাজ হচ্ছে না। কৃষি শ্রমিকরা এ সময় খোলা মাঠে বজ্রপাতে স্বিকার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সরকারি ভাবে পাঠানো কৃষি শ্রমিকদের এতে প্রাণ হানির ঘটনা হলে তাদের পরিবার চলার মত অর্থ দিতে হবে। দেশের দুঃদিনে শ্রমিকরাই এগিয়ে আসে মানুষ যখন লগডাইনে শ্রমিক তখন মাঠে। শ্রমিক শ্রেনীর এ ত্যাগ স্বিকার করে না আজকের এই মালিক শ্রেনীর সমাজ ব্যবস্থা। আজ শ্রমিক শ্রেনীর সন্তানেরা অনেক মেধাবী ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, অনেকে ওসি, ডিসি, সচিবে চাকুরী করছেন, তাদের ভুলে গেলে চলবেনা তারা শ্রমজীবি মানুষের সন্তান। তাদেরই আজ শ্রমিক শ্রেনীকে এগিয়ে নেওয়ার প্রেরণা যোগাতে হবে।
আমেরিকার শিকাগো শ্রমিক শ্রেনিকে বর্জ্র কঠিন ইস্পাত হতে শিখিয়েছে, পৃথিবী জয় করতে শিখিয়েছে। আজ শুধু শ্রেনী সচেতন করার জন্য ঐক্য দরকার। বিশ্ব শ্রমিক এক কাতারে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে অংশ নিতে হবে।
তাইতো “দুনিয়ার মজদুর এক হও” আন্তজার্তিক ¯েøাগান শ্রমিকের রক্তে ভেজা লাল পতাকা উর্দ্ধে তুলে ধরতে হবে। আন্দোলন ছাড়া শ্রমিক শ্রেনীর কোন পথও খোলা নেই। শ্রমিক শ্রেনীর হারাবার কিছু নেই জয় করার আছে সাড়া পৃথিবী। শ্রমিক শ্রেনীর শুরুটা রক্ত দিয়ে ১৯৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটে জার সরকার স্বতর্স্ফূত ভাবে শ্রমিক আন্দোলনের উপর পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা যজ্ঞ চালায়। এক সময় শ্রমিকদের কারখানায় শ্রমিকদের মেশিনের সঙ্গে কোমরে শিকল লাগিয়ে দিয়ে কাজ করানো হতো; এ অমানুষিক শ্রম। যাহা বিবেক হীনতা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে শ্রমিক আন্দোলন গড়ে উঠে। ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকার শিকাগো শহরে ধর্মঘট সফল ভাবে পালন হয়। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলতে থাকে। ৩রা মে পরিকল্পিত ভাবে শ্রমিকদের হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়। ৪ঠা মে হে মার্কেটের স্কোয়ারে বিশাল শ্রমিক সমাবেশে পুলিশ বিনা উস্কানিতে লাঠি ও গুলি চালায়। শ্রমিকদের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। আমাদের দেশে শ্রমিকরা এক দিকে যেমন দাবীর আদায়ের আন্দোলন করছে অন্য দিকে শিল্প রক্ষায়ও ভূমিকা রেখেছে। মহাযুদ্ধের সময় মালিকরা তদানিয়ন্ত্রন পূর্ব বাংলার শিল্প কারখানা ভালো করে দিয়েছিল তখন সুতা কলের শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে কারখানা চালিয়ে ফ্যাসিষ্ট জার্মানীদের বিরোধী সহযোগী শক্তির যুদ্ধাহতদের ব্যান্ডেস ইত্যাদি ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জামাদী তৈরি করে দিয়েছে। আর আজ করোনা ভাইরাসের জাতীয় দূদিনে কৃষি শ্রমিকরা হাওড় অঞ্চলে সরকারের ডাকে ধান কাটতে গিয়েছে করোনা মহাসংক্রামক ব্যাধী উপেক্ষা করে। শ্রমিকরা কারখানায় জীবন বাজী রেখে মাস্ক তৈরি করে দিয়েছে। ১৯৯৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন ও গুলিতে নিহত মনু মিয়া এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ অন্যান্য আন্দোলনে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে আমাদের দেশে শ্রমিকরা প্রমান করল ট্রেড ইউনিয়ন রাজনৈতিক আন্দোলন হতে বিছিন্ন হতে পারে না। ১৯৭০,১৯৮০,১৯৮৬,১৯৯১ সাল অন্যান্য সময় উল্লেখ্যযোগ্য আন্দোলন করেছে শ্রমিকরা। ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকার ক্ষমতায় এসেই মার্শাল জারি করে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরন সহ মিছিল মিটিং করা নিষিদ্ধ করে দেয়, কিন্তু সামরিক শাসন জাতীর ৫ মাসের ব্যবধানে সামরিক আইনকে উপেক্ষা করে চট্রগ্রাম পাহাড়তলী ওড়া, কর্মপথে নৌবাহিনীর শ্রমিকদের রক্তে রঞ্জিত আন্দোলনের ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৮ ঘন্টা কাজের দাবী আদায় হয়। বহু প্রতিষ্ঠানে কাজের ঘন্টা কমানো হয়। অন্যদিকে ১৮৮৬ শ্রমিক আন্দোলনে, শ্রমিক গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি ও কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। ১৮৮৯ সালে আন্তজার্তিক শ্রমিক কংগ্রেসে ৮ ঘন্টা শ্রম দিবসের দাবী আদায়ে শিকাগো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও আন্তজার্তিক সমিতি প্রকাশের জন্য প্রস্তাব গৃহিত হয় যে, ১লা মে সার্বজনীন ভাবে পালিত হবে। পরবর্তী বছর থেকেই ১লা মে দিনটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে পালিত হয়ে আসছে আন্তজার্তিক ও সংহতি দিবস হিসেবে। ১৯২০ সালের দিকে পরবর্তীকালে সুতাকল সহ বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা দাবী আদায়ের জন্য সংগঠিত হতে থাকে। এই সময় গড়ে উঠা ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ অধিকাংশ স্থানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় গোপনে-গোপনে মে দিবস পালিত হয়। ১৯৩৮ সালে নারায়নগঞ্জে মে দিবস পালনের খবর পাওয়া যায়। পূর্ব পাকিস্থান আমলে ঐক্যবদ্ধ ও পৃথক পৃথক ভাবে প্রতি বছর উৎসাহ উদ্দিপনার মাধ্যমে মে দিবস পালিত হয়। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে ব্যাপক ভাবে মহান মে দিবস পালিত হয়। ঐ দিনে জাতীর উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১লা মে কে সরকারী ছুটি হিসেবে ঘোষনা করেন। এতে দেশের শ্রমিক শ্রেনীর বহুদিনের প্রত্যাশা ও দাবী পূরণ হয়। বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলন বৃট্রিশ সময় কাল থেকে হামলায় পনু মিয়া হত্যা কান্ডকে কেন্দ্র করে এরশাদ তথা সাময়িক শাসন বিরোধী জঙ্গী আন্দোলন গড়ে উঠে। যেমনটি ঘটেছিল এরশাদ বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনে শ্রমিক মিছিলে ট্রেড ইউনিয়নের নেতা শহীদ তাজুল হত্যার মধ্যে দিয়ে। আমাদের দেশের মালিক ও সরকার সর্বদা ট্রেড ইউনিয়নকে তাদের পকেট সংগঠন হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। ফলে দেশের দায়িত্বশীল ট্রেড ইউনিয়নের পরিবর্তে গড়ে উঠেছে মুষ্টিমেয় সুবিধাবাদী ট্রেড ইউনিয়ন। স্বাধীনতার পর আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য দিক হচ্ছে কারখানা শিল্প প্রতিষ্ঠানে মহিলা শ্রমিক কর্মচারীদের অংশগ্রহন। আমাদের দেশে কু-সংস্কার সর্বস্ব পশ্চাদপদ দেশ। কিন্তু জীবিকা অর্জন তথা জীবন ধারনের তাগিদে সমাজের সকল পশ্চাদ পদ চিন্তা ও প্রতিক্রিয়াশীল ধনবাদীদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে দেশের নারী সমাজ কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত রয়েছে। এদেশের প্রকৃত পক্ষে উল্লেখ্যযোগ্য কর্মশক্তি হচ্ছে নারী শ্রমিক। পুঁজিবাদের বিশ্বায়নের প্রক্রিয়ায় কোষাঘাতে শ্রমিকরা দিশহারা। অপর দিকে বাজার অর্থনীতি নামে সন্তা শ্রমের বিনিময়ে চলছে পুজি আহরন। উদার অর্থনীতি করনের নামে পুজিবাদের বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে বেকারত্ব দারিদ্র মুক্ত, সামাজিক ন্যায় বিচার ও প্রতিষ্ঠার দাবীতে ঐক্যবন্ধ হতে হবে শ্রমিকদের। মে দিবস শ্রমিক শ্রেনীর গর্ব। অনুপ্রেরনা ও শপথ নেওয়ার দিন। #