
স্টাফ রিপোর্টার ॥
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাংলাদেশীদের জন্য ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ অর্জন। তরুণ প্রজন্মের কাছে আমরা মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা বর্ণনা করি। কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধ করতে গেলাম কেন এ সম্পর্কে তাদের ততটা বলি না। মুক্তিযুদ্ধ যে অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে একটা সোচ্চার বলিষ্ঠ পদপে ছিল, এ কথাটা সবাইকে বুঝতে হবে।
আমাদের জানতে হবে বাংলাদেশ যখন পূর্ব পাকিস্তান ছিল তখন কি ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কি হয়েছিল, দেশ যখন স্বাধীন হলো তখনকার ঘটনা কি ছিল।
নরপশু হায়নার দল পাকিস্তানিরা কিভাবে আমাদের উপর জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছিল।
নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর উদিত হয়েছে একটি নতুন সূর্য, আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা, পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ রচনার ক্ষেত্রে অনেক ইতিহাস আমাদের আছে, আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা। বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে যে কারণগুলো আছে তা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করতে উলিপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের রণাঙ্গনের স্মৃতিচারণে বিজয় কাব্য বই সম্পাদনা করেছেন দিনাজপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবিরের সুযোগ্য পুত্র ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবীর (স্টিভ)।
ঈদের ছুটিতে অনেকেই অনেক কিছু করেছেন প্রিয়জনকে অনেকেই অনেক কিছু উপহার দিয়েছেন, কিন্তু ঈদের ছুটিতে দিনাজপুরে এসে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবীর (স্টিভ) দিনাজপুরের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে রচিত বিজয় কাব্য বইটি উপহারস্বরূপ প্রদান করেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বঙ্গবন্ধু ঘনিষ্ঠ সহচর দিনাজপুরের সাবেক এমপি মরহুম এম আব্দুর রহিমের পুত্র বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, দিনাজপুর সদর-৩ আসনের এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম কে উলিপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের রণাঙ্গনের স্মৃতিচারণে বিজয় কাব্য বইটি উপহারস্বরূপ প্রদান করেন।

এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা পিতা, রত্নগর্ভা মা, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, দিনাজপুরের বিভিন্ন স্তরের মুক্তিযোদ্ধা, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, সহকারি পরিচালক উদ্বীপ ভৌমিক, দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সদস্য ও মালদাপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম প্রমেল এর হাতে বিজয় কাব্য বইটি প্রদান করা হয়।
বিজয় কাব্য বইটির সম্পাদক সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবীর (স্টিভ) জানান, বইটিতে একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ফুটে উঠেছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাজাকার আলবদর বাহিনীর তথ্যচিত্র ফুটে উঠেছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি করে বই প্রকাশ করা উচিত।
এতে করে আগামী প্রজন্ম বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে যে আত্মত্যাগ রয়েছে তা তারা জানতে সক্ষম হবে।